পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Na ve KGST ঢল। কি চমৎকার দুটি পদ্ম-পলাশ চক্ষু ! চোখের পাতাদু’টি কোমল ও মাটির দিকে নত। কিন্তু যখন তিনি তাহা মেলিয়া দৃষ্টি করেন, সে দৃষ্টিতে যেন মধু বৰ্ষিত হয়। একটা নীলমণির মালা গলায়, তন্নিম্নে সংলগ্ন একখানি পদ্মরাগ মণি। মসলিনের সাড়ীর আঁচলে ঢাকাই কারিগর যেন স্বপ্নের জাল বুনিয়াছে! সেই আঁচলখানি কুমারীর স্কন্ধ স্পর্শ করিয়া পৃষ্ঠে দোলায়মান বেণীর সঙ্গে দুলিতেছে। প্রতিটি সূক্ষ্ম-বিনানো বেণীর অগ্রভাগে এক একটা হীরার ঝাপা। মাথায় সিন্দুর বা অবগুণ্ঠন নাই। তিনি অগ্রসর হইয়া বলিলেন—“বাবা রাজবাড়ীতে নবকুমারের জন্য একটা সতর্ক ব্যবস্থা করিতে গিয়াছেন, তিনি এখনই আসিবেন । আপনাদের কোন দরকার থাকিলে দয়া করিয়া আমাকে জানাইবেন । তাহার জন্য আপনাদিগকে বেশী ক্ষণ প্ৰতীক্ষা করিতে হইবে না।” এই সময় অন্তঃপুরের আহবানে কুমারী কজলিকাকে তখনই ভিতর বাড়ীতে পুবেশ করিতে হইল। সর্দার বলিলেন-“কি চমৎকার মেয়েটি ! যেন একখানি দেবীপ্রতিমা । আমি শ্যামলের জন্য একটি কণে খুজিতেছি। এইরূপ একটি মেয়ে যদি পাইতাম !” উল্কা রায় বলিলেন-“আমি মন্ত্রীর কাছে কি প্ৰস্তাব করিব ? আমি বলিতে পারি, আপনি চারিপাশের সাতটি পরগণার মধ্যে এরূপ আর একটি মেয়ে পাইবেন না।” । সেনাপতি,-“সাভারের মন্ত্রী এখন একরূপ এ দেশের রাজা ; নবকুমার ইহার দৌহিত্র। সে বড় হইয়া রাজ্যভার গ্রহণ করিতে "לס צ'