পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y Jभव्ल & २ढ উত্তা রায়ের প্রতি প্রাণদণ্ডের আদেশ হইল। অতি সুরক্ষিত অবস্থায় নবকুমারকে প্ৰজ্ঞাপারমিতার মন্দিরে রাজা ও মহিষীর নিকট প্রেরণ করিয়া সাভারের রাজধানী তাহার আদেশের প্ৰতীক্ষায় রহিল । এদিকে দুৰ্জয় সেন সমস্ত সংবাদ পাইয়া প্ৰজ্ঞাপারমিতার মন্দিরে দূত পঠাইয়া সাভাঝাধিপকে জানাইলেন, তিনি ধামরাই সঙ্ঘারামের দাবী ছাড়িয়া দিলেন, আর যেন যুদ্ধ না হয়। পুত্ৰশোকাতুর সাভারের রাজা এই পত্ৰ পাইয়া কৃতজ্ঞতা জানাইয়া বাজাসনে যে চিঠি পাঠাইলেন, তাহাতে অপরাপর কথার মধ্যে লিখিত ছিল-“যুদ্ধবিজয়ী হইয়াও আপনি যে সদাশয়তার পরিচয় দিয়াছেন, তজ্জন্য আপনাকে সহস্র ধন্যবাদ ; আর আপনার সঙ্গে আমার যুদ্ধের শক্তি বা সাধ্য নাই। মন্ত্রীর দৌরাত্ম্যে দলে দলে কিরাত-সৈন্য আপনাদের অনুকূল হইয়াছিল,-যুদ্ধ চালাইলে তাহারা হয়ত আপনাদের দলেই ভিড়িয়া যাইত। সুতরাং যুদ্ধ ক্ষান্ত করিয়া আপনারা আমার সম্মান রাখিয়াছেন। এখন ধামরাইয়ের সঙ্ঘারাম আপনার লইয়া গেলেও আপত্তি করিবার কোনই কারণ নাই। আমি মহারাজের জ্ঞাতি, কিন্তু জাতিভ্ৰষ্ট । তথাপি সম্পর্কে আপনি আমার জ্যেষ্ঠ, আমি আপনাকে প্ৰণাম জানাইতেছি।” এদিকে কজলিকাকে লইয়া কি করা যাইবে, নিহত মন্ত্রীর পরিবারে ইহা লইয়া আলোচনা হইতে লাগিল। কেহ কেহ বলিল,-“বাজাসনের লোকেরা ইহাকে অন্যায়ভাবে দাবী করিতে S SV9