পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল ও নগর হইতে কিছু রং ও অভ্র আমাকে আনিয়া দিবেন।” এই বলিয়া বালক সেখানে বসিয়া পড়িলেন এবং যুবরাজ তাহার সেদিনকার শিকার কাহিনী বলিতে লাগিলেন। কয়েকদিন পরে দুইটি টুপি ও দুইটি পাখা লইয়া বালক যুবরাজ ও শ্যামলকে খুজিয়া বাহির করিল। তাহারা বালকের কৃতিত্ব দেখিয়া একেবারে অবাক হইয়া গেলেন। একখণ্ড দীর্ঘ অভ্রকে রং দ্বারা কয়েক ভাগে বিভাগ করিয়া, কোন ভাগে বুদ্ধের জন্ম, কোন ভাগে ছন্দককে ঘোটক-সহ রাজ পরিচ্ছদ-দান, কোন ভাগে কুমার রাহুলের দীক্ষা, কোনভাগে বুদ্ধ ও আনন্দের ধ্যানস্থ মূৰ্ত্তি অতি সূক্ষ্ম তুলিতে আঁকিয়াছেন। কোন ভাগে অশোকের কলিঙ্গ-যুদ্ধ,-এন্টিগোনাস, মাগাস, টলেসি প্রভৃতি বিদেশী রাজাদের নিকট দূত ও ভিষকপ্রেরণ, কোনটিতে দুৰ্ভিক্ষ-নিবারণার্থ চন্দ্রগুপ্তের দাক্ষিণাত্য-যাত্ৰা, কোন স্থানে সিংহপুরের দৃশ্যাবলী ও বিজয়ের সিংহল-যুদ্ধ-কত ঘটনা, কত দৃশ্যই বালক নানা ভাবে ও বর্ণে আঁকিয়াছে । শিল্পী হিসাবে এ তে বালক নহে, এ যে শিল্পাচাৰ্য্য। ইহার ইতিহাসের জ্ঞান ও চিত্রণ কি অদ্ভুত । চিত্রগুলি অতি ক্ষুদ্র, তথাপি তাহার সূক্ষ্মী রেখাঙ্কন এত সুষ্ঠ, পরিচ্ছন্ন ও নির্দোষ যে, কোন স্থানে রেখা অযথা বঁাকে নাই অথবা কোনদিকে হেলিয়া যায় নাই । আতস-কঁাচ দিয়া দেখিলে ছবিগুলির প্রতি সুবিচার করা হয় । সবিস্ময়ে শ্যামল বলিল-“এ কি তুমি আঁকিয়াছ ?” -‘ई अभि ।” R