পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

jव् ७8 उंब्ळ তাহার গদগদ কণ্ঠ ও চক্ষের জল লক্ষ্য করিয়া অনুতপ্তভাবে, যুবরাজ বলিলেন,-“ছিঃ ! গুরুভাই, তুমি এত ছেলেমানুষ! কি-ই বা করিয়াছ ? কোন অন্যায় তো কর নাই, আমার কথা সুচিন্তিত নহে। এজন্য তোমাকে যা” তা’ বলিয়া ব্যথা দিয়াছি। তুমি আমার যুদ্ধ-গুরু, শিক্ষা-গুরু, জীবনের রক্ষক, অন্তরঙ্গ বন্ধু। তোমার অপেক্ষ প্রিয় আমার কে আছে ? তুমি আমায় ক্ষমা কর ।” পরদিন হইতে দেখা গেল শ্যামল বালকটিকে এড়াইয়া চলে ; ভ্ৰমেও সে তাহার নাম করে না । সে যে পথে যায়, শ্যামল তাহার উল্টা পথে যায়। তাহার মুখের ভাব কতকটা উদাসীন। অধর কেশপাশ ও সর্বাঙ্গ শুষ্ক। যুবরাজের সঙ্গেই রাত্রিদিন কাটে। কখন কখনও যুবরাজ একা মৃগয়া করিতে গিয়াছেন বা বৈকালিক ভ্ৰমণে বাহির হইয়াছেন, তখন যেন নির্জন নদী-তীরে নিজকে নিজের কাছে পাইয়া শ্যামল একটা নিশ্বাস ফেলিয়া এবং ধূতির খুটে চক্ষুর জল মুছিয়া মনের ব্যথা হ্রাস করিতেছে। একি ব্যথা ? শ্যামল নিজেই বুঝিতে পারে না । মন একা । থাকিয়া কেবলই বালকের কথা ভাবিতে চায়। তাহার চিন্তায় ডুবিয়া থাকিলে যেন সে বিষামৃতে স্নান করিয়া উঠে। এক দিকে অমৃত, অপর দিকে বিষের জ্বাল,-এমন ভাব তো সে কখনই अश्डद क८द्ध मांझे । তিন দিন। এইভাবে কাটিয়া গেল। তৃতীয় দিন রাত্ৰি এক প্রহর পরে যখন “সাব-দেওয়া-বাবা’ তাহার নির্দিষ্ট জপ করিয়া একা Σε ο