পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। शुJभव् & कष् ধরিতে পারিলাম না। তাহা হইলে আমার সমস্ত শিরঃপীড়া চলিয়া, যাইত ।” . শ্যামল এইবার অৰ্দ্ধস্মৃটি শব্দে কঁাদিয়া উঠিল এবং বলিল“কজল, আমি সেই সময় তাহার একটি বোঝা হইয়া দুশ্চিন্তার কারণ হইয়াছিলাম। আমার কি আর রাজ ঐশ্বৰ্য্যের প্রতি কোন লোভ থাকিতে পারে ? মা লিখিয়াছেন—“আমার এই ছেলে যেন কাঠুরিয়া হইয়া কাঠ কাটিয়া জীবন কাটায়, লাঙ্গল চালাইয়া ক্ষেত চষিয়া জীবনযাত্ৰা নির্বাহ করে, সে চিরায়ু হইয়া বঁচিয়া থাকুক, রাজ্য-সুখ যেন সে চায় না।” কথাগুলি শেলের মত আমার ; বুকে বিধিয়া আছে। সেই শিশুপালের গড়ের একটি স্থান ছায়াশীতল, নবমল্লিক, অপরাজিত ও অতসী ফুলের গাছে ভর, আমি কতদিন সেখানে যাইয়া বসিয়াছি। মনে হইয়াছে, যেন মাতৃঅঙ্কে স্থান পাইয়াছি! হয়ত পথক্লান্তি ও রাত্রি জাগরণে দুর্বল । মা আমার সেইখানে বসিয়া বিশ্রাম করিয়াছিলেন, সেখানে হয়ত র্তাহার পদব্রজঃ পড়িয়া আছে, নতুবা তাহা এত ভাল লাগিবে। কেন ? সেখানে ময়ুরেরা নাচিতে থাকিত, কোকিল ডাকিয়া উঠিত,-মনে হইত, যেন আমাকে পাইয়া তাহারা মাতৃমঙ্গল উৎসব করিতেছে। কাজল, সেই সকল স্থান দেখিতে আমার আবার আমার মা বনদেবীর মত যে জায়গায় স্নেহভর হৃদয়টি লইয়া চূড়ান্ত কষ্ট পাইয়া মৃত্যুর দ্বারে যাইতেছিলেন, সেই পুণ্য তীর্থটি আমার আবার দেখিতে সাধ যায়। সাভারের রাঙা তটভূমিতে, SSN)