পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JAG VE8 KSSS ভগবানের রূপার মতই অনন্ত, মৃত্যুষ্ম/স্পৰ্কাছে যাইয়াও ইহা মৃত্যু যন্ত্রণা ভুলিয়া যায়। দুঃখ এই যে, সম্পূর্ণ স্নেহ, তাহারই যত সম্পূর্ণ স্নেহ,-দিয়া তিনি জননী-মূৰ্ত্তি গড়েন, কিন্তু তাহার অসীম শক্তির এক বিন্দুও মাতাকে দেন না, সমস্ত শক্তি তিনি নিজের কাছে লুকাইয়া রাখিয়া অসমৰ্থ বাৎসল্যকে তিনি কেবল জীবনব্যাপী কষ্টের কারণ করিয়া সৃষ্টি করেন। যদি তিনি মায়ের সহস্ৰ আশার অনুরূপ একবিন্দু শক্তি র্তাহাকে দিতেন, তবে মাতৃস্নেহ কি এত দুঃসহ যন্ত্রণাময় হইত ? আজি এই চিঠিখানি পাইয়া । আমার বুক কতকটা আশ্বস্ত হইয়াছে। চল, বিষ্ণু-মন্দিরে ঘণ্টা বাজিতেছে। আরতি আরম্ভ হইয়াছে, শ্ৰীমন্দিরে তুমি আমাকে ছাড়া থাকিও না । “সাব-দেওয়া-বাবা’। অন্তৰ্য্যামী, তাহার কাছে আমরা যেন কোনরূপ দোষী না হই ।” উভয়ে মন্দিরে ফিরিয়া আসিল । “সাব-দেওয়া-বাবা’ দেখিলেন, উভয়ের চক্ষু নিৰ্ম্মল, তাহাতে শুধু পবিত্রতা প্ৰতিভাত হইতেছে। তাহাদিগকে আরতির পর লুটের দুইখানি বাতাসা দিয়া মাথায় হাত রাখিয়া তিনি আশীৰ্বাদ করিলেন । কিন্তু বহু কষ্টে নিরুদ্ধ তাহার একটা দীর্ঘশ্বাস দম্পতির কাছে ধরা পড়িয়া গেল। হায় ! সাধুর মনও বিচলিত হয়! SV