পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পনের শ্যামল ও বধূকে বাজাসনে লইয়া আসিবার জন্য রাজা যুবরাজকে পাঠাইয়া দিয়াছেন। গোড়ার দল কাণাকণি করিয়াছিল। জন্ম পৰ্য্যন্ত যে চণ্ডালের গৃহে পালিত এবং যাহার বংশে জাতি-বিচার নাই, তাহার ও তাহার বধূকে আনিবার জন্য স্বয়ং যুবরাজ কোন যাইবেন ? দরবারের সন্ত্রম ও পবিত্ৰত রক্ষা করা উচিত। কিন্তু সে সময় গৰ্গ উপস্থিত ছিলেন। র্তাহার গঞ্জনাসূচক দৃষ্টিতে এই সকল কথাবাৰ্ত্তা বেশী দূর গড়াইতে *iब् िका । যুবরাজ তাহার সৈন্যসামন্তের সঙ্গে নবদম্পতি ও কিশোরীকে রওনা করিয়া দিলেন। কিন্তু “সাব-দেওয়া-বাবা' যুবরাজকে কয়েকটি দিন বিষ্ণু মন্দিরে থাকিয়া যাইতে অনুরোধ করিলেন। একদিন সন্ন্যাসী যুবরাজকে বলিলেন-“তোমাকে উৎকষ্ঠিত ও চিন্তিত দেখিতেছি, কেন বল তো ?’ । যুবরাজ-“বাজাসন অঞ্চলে যে ষড়যন্ত্র ও দৌরাত্ম্য চলিতেছে, তাহাতে হিন্দুধৰ্ম্ম, ভিক্ষুধৰ্ম্ম কিছুই থাকিবে না। গৌড়েশ্বরের চিরন্তন বিধির বলে মঠের অধ্যাক্ষের হাতে সমস্ত ক্ষমতা ন্যস্ত। আমরা কেবল রাষ্ট্ৰীয় শাসনের ক্ষমতাপ্ৰাপ্ত। গুপ্তচরদের মুখে যাহা শুনিয়াছি, তাহাতে আমার এই অক্ষম দু’টি বাহু ও অসহ্য কষ্টসহ মন লইয়া পৃথিবীতে একদিনও বাঁচিয়া থাকিতে ইচ্ছা করি না।

Sebr