পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কািজল, করতাল, জয়ঢাক, কাড়া-নাকাড়ার গগনভেদী শব্দে সর্দারের মূৰ্ছিন্নভাঙ্গিয়া গেল। তিনি তখনও সম্পূর্ণ জ্ঞান পান নাই, দেখিলেন, তাহার পদতলে বসিয়া একটি যুবক কঁাদিতেছে। যুবক রত্নপ্ৰভা শেঠ। সে অতি ধীরে বলিল—“সেনাপতি মহাশয়, আপনি কি আমার কথা শুনিবেন ?” সেনাপতি-“এখন আমার কোন কথা শুনিবার কাণ নাই, দেখিবার চোখ নাই, অনুভব করিবার প্রাণ নাই । আমার শ্যামল কোথায় ? তুমি না। তাহার শয্যাপার্শ্বে বসিয়াছিলে ?” তখন দীর্ঘনিঃশ্বাসের ঝড় বহিল, চোখের জলের বাণ ছুটিল। শ্ৰেষ্ঠী বৈশ্য সর্দারের পা”দুটি জড়াইয়া ধরিয়া সকল কথা স্বীকার করিয়া বলিল,-“শ্যামলকে আমিই মারিয়াছি, সুতরাং আপনি আমার শিরশেছদ করুন।” এই সকল কথা শুনিয়া চণ্ডাল-বীৰ্য্য জাগিয়া উঠিল, সেনাপতি বহির মত জ্বলিয়া উঠিল । , a ” রত্নগৰ্ভ বলিল—“সেই মুহূৰ্ত্ত হইতে যে যমদূতেরা শত মূষলে আমার অন্তরাত্মাকে বীজসম আঘাত করিতেছে, তাহাতে আমি পাগল হইয়া যাইতেছি। আপনি আমার শিরশেছদ করুন, তাহাই আমার পাপের একমাত্ৰ উপযুক্ত শাস্তি ।” সেনাপতি৷-“আমি বহু বীরের শিরশেছদ করিয়াছি। যাহারা দেশের জন্য লড়িয়াছে, রাজার জন্য প্ৰাণ দিয়াছে, জাতির গৌরবের জন্য মৃত্যুর জয়-লালাটিকা পরিয়াছে, যাহাদের প্রতি নিঃশ্বাস নিস্বাৰ্থ এবং স্বদেশের মঙ্গল-কামনা-পূত, যাহারা বাম হাত Stro