পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কজ্জল আর কে কে আছে?”—বলিয়া অসি ঘুরাইতে মুরাইতে নিজের বুকে অসির ফলা বিদ্ধ করিয়া মুম্ষু অবস্থায় স্বগৃহে আসিলেন। ভাল করিয়া প্ৰভাত হইতে না হইতেই এই সকল কথা রাষ্ট্র হইয়া গিয়াছিল। মুম্ষু সেনাপতির ইঙ্গিতে শ্যামলের সেই কৌটাটি সিংহপুরে প্রেরিত হইল। মৃত্যুকালে সর্দার স্বজাতীয়দের কাছে বলিয়া গেলেন—“শুনিয়াছি স্বধৰ্ম্মে মরাও ভাল, পরের ধৰ্ম্ম ভয়াবহ । আমরা চণ্ডাল, “সাব-দেওয়া-বাবা’র ধৰ্ম্ম আমাদের নহে। সেই ধৰ্ম্ম মানিতে যাইয়া আমরা সকলে মরিলাম ! তোরা বাবার কথা শুনিস না, যাহা অপমান-জনক, তাহা সহিস না, যে দেবতা কেবল পৈতাধারীদের এক চেটিয়া, সেই ঠাকুর মানিস না।” সর্দারের প্রাণ এই ভাবে চলিয়া গেল । রাজা মুমূর্ষ অবস্থায় সকলই শুনিতে পাইলেন। র্তাহার আয়ু শেষ হইয়া আসিতেছিল, কিন্তু জ্ঞান বেশ ছিল। শ্যামলের হত্যা, ফাহাউচের হত্যা, সর্দারের আত্মহত্যা,- এই তিন সংবাদ একত্র হইয় তাহার বুকে যে আঘাত দিল, তাহা আর তিনি সামলাইতে পারিলেন না । তঁহার শেষ কথা-‘কানাই শুকাইয়া গিয়াছে,- বাজাসনের পাপে আমার এত বড় যে, মলঙ্গার বিল, যেখানে লবণ কারবারীদের জাহাজ কালাপানি হইতে আসে, সেই বিলও শুকাইয়া গিয়াছে। যুবরাজ কোন পথে, কেমন করিয়া আসিবেন ?” রাজার মৃত্যু হইল। তাহার একমাত্র পুত্রের হাতের অগ্নি ন। পাইয়াই তঁহার সৎকার-কাৰ্য্য শেষ হইয়া গেল। কানাই নদের ܘ ܗ ܠ