পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল পশ্চিম দিকটা শুকায় নাই—সেখানেই দাহকাৰ্য সমাধা হইল।”, সেই অগুরু ও চন্দন কাঠের চিতার উপর মহরাণী সাশ্রনেত্রে আরোহণ করিলেন। রাজাসনের রাজ্য যুবরাজের আগমন প্ৰতীক্ষা করিয়া রহিল। এই সংবাদ দেওয়ার জন্য গর্গ রাজধানী সোনার গায়ে চলিয়া গেলেন এবং বৃদ্ধ, অসমর্থ মন্ত্রী অল্পকালের জন্য রাজদণ্ড পরিচালনা করিতে লাগিলেন। তিনি দেখিলেন, নিম্নশ্রেণীতে, বিশেষতঃ চণ্ডাল-সমাজে বিদ্রোহের ভাব। সেই বারুদের ঘর কখন যে জ্বলিয়া উঠিবে, তাহা তিনি বুঝিতে °6िब्लन्न न ! যুবরাজ দরবারের চিঠিতে সমস্ত কথা জানিয়া সংসার-সুখে বিতৃষ্ণ হইয়া পড়িলেন। “সাব-দেওয়া-বাবার পায়ে পড়িয়া বলিলেন—“এই মাতা-পিতৃহীন, প্রাণপ্রিয় বন্ধুহীন যুক্তভাগাকে আপনার শ্ৰীচরণে আশ্রয় দিন। যে কমণ্ডলু আজ হইতে দিবেন, তাহাতেই কুড়ানো ফল-মূল লইয়া ক্ষুগ্নিবৃত্তি করিব। যে গৈরিক, কৌপীন ও বহির্বাস দিবেন, তাহাই আমার পরিধেয়। আর পৃথিবীর ঐশ্বৰ্য্য খুজিয়া ক্লান্ত হইব না ; এই বয়সেই তাহার মূল্য বুঝিয়াছি। এই শোকের তীব্র জ্বালাও হয়ত কালে জুড়াইয়া যাইবে, কিন্তু তদপেক্ষ উৎকণ্ঠা ও শোকের কারণ হইয়াছে কজ্জল । তাহাকে একথা কেমন করিয়া বলিব ? তাহাকে কোথায় রাখিয়া যাইব ?” সন্ন্যাসী বলিলেন-“শ্যামলের সংবাদ সহসা তাহাকে দিও না। তাহার মন খামলের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে অভিভূত। সে নিজেই টের 6