পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল । ফুল না দেখিয়াই” বলে, “কি সুন্দর’ ভ্ৰাণ, মালতী কি শিউলি * ফুটিয়াছে!’ সূৰ্য্য, আকাশে থাকিয় তাহার কিরণ সমস্ত জগৎকে বুঝাইয়া দিতেছেন,-সৌর আলোকে কীট পতঙ্গ পৰ্য্যন্ত বুঝিতেছে সূৰ্য্য তাহাদেরই। সুতরাং প্রেম কৌটায় পুরিয়া রাখিও না। যদি কৌটা ভাঙ্গিয়া যায়। তবে জগৎকে বঞ্চিত করিও না। সেরূপ বঞ্চনা করার অধিকার তোমার নাই ;-জন্মে জন্মে কষ্ট পাইয়া তাহা বুঝিবে। প্রেম ছােট নহে অতি বড়, প্রেম ক্ষুদ্র নহে অতি অসামান্য। এই অতিথি ক্ষুদ্র বেশে তোমার কাছে আসিয়াছেন। ইনি অতি মহান, সমস্ত জগৎ উদ্ধার করিবার পাবনী শক্তি ইহার , আছে । আমি তোমাকে আর কি বলিব ? যদি কষ্ট পাও, তবে আমার কথাগুলি মনে করিও।” আর কিছু না বলিয়া “সাব-দেওয়া-বাবা” নিজের কক্ষে ক্ষেলেন। কজ্জল আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া লক্ষ্য করিলেন, তিনি বিদায়কালে আশীৰ্বাদ করিতেও ভুলিয়া গিয়াছেন। ー選米3ー যুবরাজের সঙ্গে আশ্বারোহণে কজ্জল চলিতেছে। চাষীরা হল চালনা করিতেছে —একজন কৃষাণ-বালক অশ্বখ বৃক্ষের নিতৃত ছায়ায় বসিয়া গাহিতেছে,- ‘কোন না জেলের মাছ খেয়েরে, না দিছিলাম কড়ি। সেই না পাপে হ’লাম আমি অল্প বয়সে রাড়ী ৷” স্বরটি ভাটীয়ালী, যাহা পদ্মার মাঝিরা গাহিয়া অনন্ত আকাশ ও নীল, পূণ্যতোয় নদীকে আবিষ্ট করিয়া ফেলে। “বিধাতা У SVE N VE