পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उयाटेज़ ইহার পর আর একটি মাত্র ক্ষুদ্র অধ্যায়। সোনার গা দখল করিয়া তুৰ্কী সৈন্যরা শুনিতে পাইয়াছিল— বাজােসন বিহারের কথা। এই বিহারে একদা দীপঙ্কর শ্ৰীজ্ঞান প্ৰাথমিক শিক্ষা পাইয়াছিলেন। ইহা তান্ত্রিক দীক্ষা গ্রহণের পূর্বে বৌদ্ধদের একটা বৃহৎ বিদ্যাকেন্দ্র ছিল। . W তুর্কী গাজীর সৈন্যেরা সুয়াপুরী রাজধানী ঘিরিয়া রহিল। যুবরাজ সেখানে নাই। নিম্ন শ্রেণীর সৈন্যরা সকলেই বিদ্রোহী। মোল্লারা উপদেশ দিতেছে,-“আমাদের ঈশ্বরের কোন রূপু নুই, আমাদের ঈশ্বর পুতুল নহে, আমাদের কােৱাণ পুতুলু-খেলার গল্প নহে। আমাদের ঈশ্বরের স্থানে সকলেরই প্রবেশাধিকার আছে, তাহার পথ কাহাকেও দেখাইতে হয় না। “আল্লাহ আকবর’ বলিয়া পাচ ওক্ত নামাজ করিলে তিনি তাহার পথ সকলকেই দেখাইয়া দেন। আমাদের মসজিদে ছােট বড় একস্থানে এক পংক্তিতে বসিয়া প্রার্থনা করে। ধৰ্ম্মের নামে কতকগুলি লোক ঈশ্বর প্রিয় এবং তঁাহার অনুগৃহীত এই ঘোষণা করিয়া পার্থিব সুখ ও ঐশ্বৰ্য্য একচেটিয়া করিয়া লইবার দাবী করে না। আমাদের সমাজে ব্রাহ্মণ-শূদ্র নাই, রাজা ও প্রজী সকলেই একই আল্লার খিদমদগার। তোমরা আইন্স, বিপথ হইতে সুপথে আইস, আঁধার হইতে আলোকে আইস।” Σ Θδ