পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল । রাজসিংহাসন হইতে প্ৰায় ৮০ হাত দূরে শৈবাল রায় নত মুখে রাজাদেশ প্ৰতীক্ষা করিতেছেন। তিনি চণ্ডাল জাতীয়। পূর্ব রাজসিংহাসন হইতে র্তাহার দাড়াইবার স্থান মাত্র ২০ হাত ব্যবধানে ছিল । এখন নবাগত গোড়া ব্ৰাহ্মণদের প্রতিপত্তিবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবধান বাড়িয়াছে। নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা এখন আর প্রায় দরবারে ঢুকিতেই পায় না। পূর্বে রাজা প্ৰাত:কৃত্য ও পূজা-আহ্নিকাদি সমাধা করিয়া রাজপ্রাসাদের বারান্দায় আসিয়া দাড়াইতেন, রাজধানীর সমস্ত প্ৰজা নির্দিষ্ট সময়ে রাজদর্শন পাইত। এখন কণোজিয়া ঠাকুরদের নূতন বিধি-ব্যবস্থায় নিম্নশ্রেণীর সে সকল সুবিধা অন্তহিত হইয়াছে। তেলীর মুখ, ধোপার মুখ শ্মশ্রহীন মুখ প্ৰভৃতি দর্শন করা পাপ। নানারূপ সংস্কৃত শ্লোক-রচিত বিধি-ব্যবস্থার কণ্টকাকীর্ণ বাধা নিম্নশ্রেণীকে এরূপ জর্জরিত করিয়া রাখিয়াছে যে, দরবারে তাহাদের কোন স্থান নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। সুতরাং যে রাজাদের জন্য তাহারা অবাধে প্ৰাণের রক্ত ঢালিয়া দিয়া, যথাসর্বস্ব তাহাদের সেবায় সমৰ্পণ করিয়া, নিৰ্ভয় ও অকুণ্ঠচিত্তে যুদ্ধবিদ্যার সাধনা করিয়া আসিয়াছে, আজ তাহাদের সঙ্গে সিংহাসনের সে সম্পর্ক যেন টুটিয়া গিয়াছে। এই জন্য আজ তাহারা নিতান্ত অপরাধীর মত অবসন্ন। অজ্ঞাত পূৰ্ব্বজন্মকৃত পাপের ফলে যে তাহারা হিন্দুসমাজে জন্মগ্রহণ করিয়াছে এবং শত সহস্র জীবন যে সেই জন্ম-জন্মান্তর কৃত অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করিয়া তাহদের জাতি-বৈষম্যের গণ্ডি হইতে ত্ৰাণ পাইতে হইবে, এই ধারণা Σ Σ