পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯

श्रुढिल ९३ किड्ड् বদ্ধমূল করাইবার চেষ্টা হইতেছে। তাহাদিগকে এ জীবন পশুবৎ কাটাইতে হইবে, ভবিষ্যতে কোন জন্মে হয়ত তাহদের ভাগ্য প্ৰসন্ন হইতে পারে, এই সুদূরপরাহত ক্ষীণ আশাই তাহাদের একমাত্র অবলম্বন। বীৰ্য্যে ও বিক্রমে অতুলনীয়, সংখ্যায় বিপুল, দৈহিক বলে অসাধারণ বলিষ্ঠ, প্ৰভুভক্ত চণ্ডাল জাতি বিক্ষুব্ধ জলধির উত্তাল তরঙ্গের মত আজ চঞ্চল । তাহারা উচ্চ শ্রেণীর লোকের জন্য প্ৰাণ দিতে প্ৰস্তুত, তথাপি তাহদের পা ছোয়ার অধিকারী পৰ্য্যন্ত নাই। এই নিয়তি তাহার ক্ষোভের সহিত মানিয়া লইয়াছে ; কিন্তু সেনাপতির অপমানে তাহারা প্রকৃতই ব্যথিত । শৈবাল রায় দীঘলছিটের স্বাধীন রাজা প্ৰতাপ ও প্রসন্ন রায়ের বংশধর। কত যুদ্ধে মহারাজ দুৰ্জয় সেনের গৌরব-রক্ষার জন্য ইনি নিজেকে কামানের মুখে সমৰ্পণ করিতে গিয়াছেন, শক্ৰকৃত বিন্দুমাত্ৰ অপমানে যিনি খড়গাঘাতে স্পদ্ধিত বীরশ্রেষ্ঠদের শির দেহত্যুত করিয়া প্ৰতিহিংসা চরিতার্থ করিতে প্ৰস্তুত, তাহার নিজ রাজদরবারে এই সম্মানের বিলোপ তিনি মেষ-শাবকের ন্যায় সন্ধা করিতেছেন। কিন্তু তাহার স্বগণ ও বন্ধুরা এই অত্যাচার সহ্য করিতে পারিতেছে না। রাজা স্বয়ং ব্রাহ্মণদের বাড়াবাড়ির প্রশ্রয় দিতে দ্বিধা বোধ করিয়াও প্ৰতিবাদ করিতে সাহসী হইতেছেন না। র্তাহারা যে ভুদেৰ-তােহাঁদের শাস্ত্ৰ যে অভ্রান্ত! আজকার রাজদরবারে নিয়শ্রেণীর লোকেরা যেন খুব আন্তরিকতার সহিত যোগ দিতে পারিতেছে না, কোথায় যেন তাহাদের বাধিয়াছে। তাহারা শুনিয়াছে, বরাবর যে সকল পল্লীগান SdR