পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Jter ve keszi দরবারে গীত হয়, এবার তাহা হইবে না। কণোজিয়া ঠাকুরেরা বাঙ্গলা জানেন না ; তঁাহারা নির্দেশ করিয়াছেন এ দেশের ভাষায় সংস্কৃত শাস্ত্রের কথা বুঝাইতে যাওয়া পাপ। যাহারা সে চেষ্টা পায়, তাহারা নরকে যায় ; বাঙ্গলা ভাষা পৈশাচিক প্ৰাকৃত,- উহা একেবারে অপাংক্তেয়। যাহারা সারা রাত্ৰি জাগিয়া লম্বফঝাম্প ও বাদ্যযন্ত্রের উচ্চরোলের সঙ্গে পরম উল্লাসে গানগুলি সারা বৎসর ভরিয়া শিখিয়াছিল, তাহারা যখন শুনিল, রাজা আর তাহাদের গান শুনিবেন না, তখন তাহারা যেন মুষড়িয়া গেল ; গৃহহারা, সমাজহারার ন্যায় পল্লীর লোকেরা নিজের গৃহে অসোয়াস্তি বোধ করিতে লাগিল। মনে হইল, যাহা এতদিন এক ছিল, তাহা যেন কে বা কাহারা শতখণ্ডে ভাগ করিয়া তাহাদের প্রাণে যে দাগ দিয়াছে, তাহা কোন কালেই সারিবে না-এই বিষ সমস্ত দেশে ছড়াইয়া পড়িয়া অনর্থ উৎপাদন করিবে । বালক শ্যামলের জেদ, সে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ অশ্বারোহীর সঙ্গে ঘোড়ার খেলায় প্রতিযোগিতা করিবে । ভীমমল্প প্ৰথমে ঘোড়দৌড় দেখাইল। তাহার নামের মতই দেহ এবং তাহার দেহ । ছাপাইয়া উঠিয়াছে বেগবান, স্থূলকায় অশ্বের শরীর। কালো রঙ্গের ঘোড়াটি, মোষের মত রক্তবর্ণ চক্ষু, লেজ চামরের ন্যায়। এক কৃষ্ণবর্ণেরই কত সূক্ষ্মভেদ তাহার দেহে খেলিয়া যাইতেছে । কেশরগুলি সিংহের মত গুচ্ছে গুচ্ছে বিন্যস্ত, সেগুলি মিশ কালো। সেই কালোর উপর নীলের আভা ছড়াইয়া দিয়া যেন বিধাতাপুরুষ SV