পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার দেহের বর্ণ সাজাইয়াছেন। লেজের নীল বর্ণে যেন সবুজের আভা খেলিতেছে। কালো, নীল, সবুজ যেন একত্র গুলিয়া কোথাও কালোকে ঘনীভূত করা হইয়াছে, কোথাও তাহার উপর তরল সবুজ, কোথাও বা নীলের আভা, যেন উক্ত ত্রিবর্ণের অতি মুসূণ ঢেউ-খেলানো একখানি পারস্যদেশের গালিচা। এই বর্ণ ত্ৰয়ে রামধনুর মত সাত রঙের খেলা নাই। তিনটি বর্ণেরই এরূপ সূক্ষ্ম সমারোহ যে, কোথা হইতে গাঢ় নীল বা কালো আরম্ভ হইয়াছে, কোথা হইতে সবুজের আভা সুরু হইয়াছে, তাহা বুঝিবার উপায় নাই। অথচ দ্রুত ধাবনের কালে মনে হয়, যেন কালো, সবুজ ও নীলবর্ণের অপূর্ব তরঙ্গ চােখের সামনে ভাসিয়া যাইতেছে। ঘোড়ার খুরগুলি শাণিত তরবারির মত উজ্জ্বল, কাণদু’টি শিকারী কুকুরের মত উৰ্দ্ধগ। তাহার চারি হাটুর উপর কাশ্মিরী শালের বেষ্টনী। যখন খেলার মাঠে ভীমমল্প এই অপূর্বদর্শন ঘোড়ায় চড়িয়া উপস্থিত হইল, ঘোড়া একবার “চিহি” করিয়া ডাকিয়া উঠিল, মনে হইল তারে বাধা রৌপ্য ঘণ্টাগুলি বাজিয়া উঠিয়াছে। ঘোড়ার নাম ‘তুফান’, কি অদ্ভুত দৌড় ! ঘোড়া সোয়ারকে লইয়া যেন অবলীলা-ক্ৰমে সমুদ্রে সাতার কাটিতেছে, কিংবা বাজের মত আকাশে উড়িতেছে, অথবা অঞ্চসারার মত রঙ্গমঞ্চে নাচিতেছে। যেমন ঘোড়া, তাহার তেমনই সোয়ার। অয়স্কান্তি মণিমণ্ডিত লাগাম অশ্বের অপূর্ব কৃষ্ণ-ভাতির সঙ্গে মিশিয়া গিয়া যেন বিদ্যুতের খেলা দেখাইতেছে, তাহার পরিচালনাগুণে অশ্বটি নানা ছন্দে দ্রুত খুর-ক্ষেপের S8