পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JAG ve KSTING মণ্ডলকে দ্বিখণ্ডিত করিতেছে মাত্র। বাণ, খড়গ, গুলি-কিছুই নাই ; তবুও দর্শকেরা ঘোড়ার অদ্ভুত ভঙ্গীতে যেন সকলই দেখিতেছে। কখনও উপবিষ্ট, কখনও পদাঙ্গুলী-সঙ্কেতে, কখনও রাশ-চম্পর্শে ঘোড়ার গতি নিদিষ্ট হইতেছে। কখনও দেখা গেল, যেন শত শত বাণের মধ্য দিয়া একটি ক্ষিপ্ৰতর বাণ নিজেকে অক্ষত রাখিয়া ছুটিয়াছে। বাজাসনের দশজন অশ্বারোহী এবং শৈবাল রায়ের দশজন অশ্বারোহী লইয়া “চােগান’ খেলা চলিল। শ্যামল ঘোড়ার পেটের নীচ দিয়া চাবুক ছুড়িল, এবং সেই চাবুক চালনার গুণে আকাশে উঠিলে ঘোড়ার পিঠ হইতে সে তাহ ধরিয়া ফেলিল। সোয়ার ও তাহার ঘোড়া ক্ষণে ক্ষণে আকাশ-পথে বৰ্ত্তালাকারে ঘুরিতে লাগিল। মনে হইল, দুইটি গ্রহ একত্র হইয়া একটা ক্ষুদ্র জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর সৃষ্টি করিয়াছে। কোথায় ঘোড়া, কোথায় সোয়ার চেনা যায় না। কিন্নরমিথুনের ন্যায়, পরস্পর আলিঙ্গন-বদ্ধ নৰ্ত্তকীর ন্যায় তাহারা অবিরাম আকাশে ছুটিয়া বেড়াইতেছে। এই অপূর্ব দৃশ্য দেখিয়া দর্শকদের সমস্ত পূর্ব সংস্কারের বঁাধ ভাঙ্গিয়া গেল। “এরূপ হয় নাই”, “এরূপ দেখি নাই’, এরূপ হ’বে না।”- মুহুমুহুঃ এই ধ্বনি সেই জন-সমূদ্র হইতে উঠিতে লাগিল। শ্যামল ও তাহার ঘোড়া তখন কোথায় ? পৃথিবীর কোন কথা তাহাদের কাণে পৌছিতেছে না,-তাহারা অনির্দিষ্ট স্বৰ্গপথের যাত্রী,- ভাবে মাতোয়ারা, বহু জন্মের বহু তপস্যার পর চির বিরহখিন্ন দুইটি প্রণয়ী মিথুনের মিলন হইয়াছে। এই মিলনে তাহারা যে > ア