পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল শ্যামল করজোড়ে নিবেদন করিল,-“আমি ভীমমল্পের পুত্রের মত, তাহার চিরাজিত বিজয়ের অংশীদার হইতে চাহি না । ইহা আমার সৌজন্যের ভাণ নহে। তাহার যদি মনের বিন্দুমাত্র ভাবান্তর হইয়া থাকে, তবে মহারাজ স্বহস্তে আমাকে যে আশীৰ্বাদ করিলেন, তাহার মৰ্য্যদা লঙ্ঘন না করিয়াও আমি এই আশীৰ্বাদী ফুলের মালা ও পান ‘মহারাজের চরণ-প্ৰান্তে রাখিতে আদেশ ভিক্ষা করিতেছি । আমি ভীমমল্পের প্রসন্নতার कांक्रॉन ।।” ভীমমল্ল সাশ্রনেত্ৰে শ্যামলকে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন“ভাই, তুমি যখন ঘোড়ার উপর উঠিয়া বসিলে, তখনই আমি বুঝিলাম, তোমার শিক্ষা উচ্চাদরের ও স্বতন্ত্ৰ। তেলেঙ্গা, কুরঙ্গই, জলসিংহ প্ৰভৃতি বহু স্থানের অশ্বারোহী এই রাজধানীতে আসিয়া থাকে ; তাহদের কাহারও তোমার মত অপূর্ব শিক্ষা নাই। তুমি বাজাসনের মাণিক। এই অল্প বয়সে এরূপ শিক্ষা কোথায় পাইলে, তাহাই আমার চিরবিস্ময় ।” মহারাজের ইঙ্গিতে আর একটি বড় ফুলের মালা আনীত হইল। তিনি তাহা মল্লের কণ্ঠে পরাইয়া দিয়া বলিলেন,- “ভীম, তুমি আমার শত যুদ্ধের সহচর, আমার সেবার চিহ্নস্বরূপ সেই শত যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন তোমার দেহ শোভিত করিতেছে। তুমি এখন প্ৰবীণ-বয়স্ক। তোমার অভাবে তোমার স্থান কে লইবে, তাহাই ভাবনার বিষয় ছিল। সে দুর্ভাবনা দূর হইল। তুমি চিরকাল এই পুষ্পমাল্য ও পান পাইয়া আসিয়াছ, এবারও তাহা R O