পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थुjाधठन ७ कष्ज्नेछ। ইন্দ্ৰধনুর বর্ণ নুড়ি ও মাছরাঙ্গ জীবিত অবস্থায় ধরিয়া আনিত এবং ভীষণ শাৰ্দ্দলি, গণ্ডার ও বরাহের মৃত দেহের ভার লইয়া ভৃত্য ও বাহকের উল্লাসপূর্বক আনাগোণা করিত, কত যে কৃষ্ণসার তাহাদের শিরোদ্ভূত জটিল বৃক্ষমূলের মত শৃঙ্গ ও বিচিত্র বর্ণের লেজ লইয়া বাহকদের স্কন্ধে ভারে ভারে ঝুলিতে থাকিত, তাহার ইয়ত্ত করা যায় না। বিজয়ী যুবকেরা সায়ংকালে যখন গৃহে ফিরিত, তখন তাহাদের কাহারও চৰ্ম্ম ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন, শাৰ্দল দন্তের ক্ষত চিহ্নের উপর রক্তবিন্দু, কাহারও গায়ে বৃক্ষ ও লতার তীক্ষ কণ্টকের দাগ, কেহ বা আম, জাম ও নানারূপ বন্য ফলে বস্ত্ৰ ভত্তি করিয়া “জয় কুমারের জয়”, “জয় শ্যামল সেনাপতির জয়”,- মুহুমুহুঃ এই সোল্লাস চীৎকার-পূর্বক স্ব স্ব মাতৃ আঙ্গিনায় উপস্থিত হইত। কেহ বা তখন বুনো বরার চৰ্ম্ম উত্তোলন-পূর্বক জয়ঢাক্কা-নিৰ্ম্মাণে লাগিয়া যাইত ; তাহদের মায়েরা কত যত্নে ভিজা নেকড়া দিয়া রক্তের দাগ মুছাইয়া দিতেন। কেহ বা সূচী বা তীক্ষ লৌহ-শলাকা-দ্বারা তরুণদের চৰ্ম্মে প্রবিষ্ট পশু-দন্ত তুলিয়া ফেলিয়া বিবিধ রূপে বিক্ষোভ প্ৰকাশ করিতেন। যে সকল ক্ষত তাহারা কিছুমাত্র গ্রাহা করিত না। কুমার জয়ন্ত সেন শ্যামলের সাহচর্য্যে এরূপ পালোয়ান ও কুস্তি-প্রিয় হইয়া উঠিলেন যে, সেই অল্প বয়সেই তিনি বীরোচিত কৃতিত্বে বড় বড় সৈনিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হইলেন। রাজা তাহাকে সম্পূর্ণরূপে শ্যামলের হন্তে ছাড়িয়া দিয়াছিলেন। তিনি জানিতেন, যে পৰ্য্যন্ত সেই তরুণ চণ্ডাল যোদ্ধার সঙ্গে থাকিবেন, সে পৰ্য্যন্ত তিনি সর্বত্র বিজয়ী R 8