পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবিতে নাই, বিপদ তো তাহদের চিরসার্থী, শ্যামলের মত সহায় তিনি ভাগ্য বলেই পাইয়াছেন। যখন র্তাহার চিন্তাধারা। এইভাবে প্ৰবাহিত হইতেছিল, তখন মন্থর গতিতে রত্নখচিত হস্তি-দন্তের বৈলার সঙ্গে বৃদ্ধিাঙ্গুষ্ঠের সহযোগে স্বর্ণ-পাদুকার একরূপ অদ্ভুত শব্দ উৎপন্ন করিয়া বৃদ্ধ মন্ত্রী রাজার অনতিদূরে আসিয়া মহারাজের সৌজন্যপূর্ণ আদেশে তাহার নিকটে বসিলেন। . রাজা বলিলেন-“ভাল তো মন্ত্রী মহাশয় ? কুমারের রণশিক্ষার }ায়ামের যে সুব্যবস্থা হইয়াছে, তাহ অবশ্য আপনি স্বীকার করিবেন। আপনিই তো ইহার উপযুক্ত শিক্ষার জন্য ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। এখন যে ব্যবস্থা ভগবান আপন হইতেই করিয়া দিয়াছেন, তাহা আমাদের আশাতীত । আপনি অবশ্যই ইহাতে প্রীত হইয়াছেন।” মন্ত্রী একটু নস্য গ্ৰহণ করিয়া বলিলেন- “শ্যামলের বীৰ্য্যবিত্তা ও কৃতিত্ব কে অস্বীকার করিবে ?” রাজা-“কেবল কি তাহাই ? এই ছেলেটি যুবরাজকে যেরূপ ভালবাসে, তাহাতে মনে হয়, তাহার জননী এবং আমিও তাহাকে সেরূপ ভালবাসিতে পারি না। এ যেন এক বৃন্তে দু’টি ফুল । কে বলিবে খ্যামল চণ্ডাল-পুত্র ? তাহার মুখে, চোখে যে প্ৰতিভার দীপ্তি ও ঔজ্জ্বল্য খেলিয়া যায়, তাহাতে মনে হয়, শ্যামল উচ্চবংশসস্তৃত। তাহার জন্ম সম্বন্ধে আমার মনে এখনও একটা খটকা রহিয়া গিয়াছে। আমার যেন মনে হয় এ ছেলেটি উচ্চ বংশে JG