পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gyfar ve কজ্জল ভূষা, স্বর্ণ, জহরৎ এবং অলঙ্কারাদি, ব্যবহারের আসবাব লইয়া তোমারা এই মাতৃভূমি ও জননীর ক্রোড় ত্যাগ কর।” এই বলিয়া রাজা উত্তরীয় প্রান্তে চক্ষু মুছিয়া নীরব হইলেন। । কুমারেরা এই আদেশে হৃষ্টই হইলেন। মধ্যম কুমার চুপে । চুপে জ্যেষ্ঠের কাণে কাণে বলিলেন,-“আদেশ ভালই হইয়াছে, কিন্তু ভাগটা ধীমন্তের দিকে একটু বেশী পড়িল।” জ্যেষ্ঠ কুমার হরিসেন বলিলেন,-“গৃহহারা, ছন্নছাড়া হতভাগাকে নূতন রাজধানী পত্তন করিতে হইবে। যাহা আমরা জন্মিয়াই লাভ করিয়াছি, সেই জন্মের অধিকার হইতে বঞ্চিত হইয়া সমস্তই নূতন করিয়া গড়িতে হইবে। এই সকল ভাবিয়া দেখ, পিতার বিচার ঠিকই হইয়াছে।” । এই কথায় মধ্যম” কুমার চুপ করিয়া গেলেন। সেই ক্ষুদ্র পারিবারিক সভা ভঙ্গ হইল। সকলে চলিয়া যাওয়ার পরও ধীমান্ত খানিকক্ষণ চুপ করিয়া দাড়াইয়া ছিলেন। তাহার দুই চক্ষু হইতে অবিরল জলধারা নিঃসৃত হইয়া গণ্ডদ্বয় প্লাবিত রিতেছিল । তিনি তঁহার মাতার প্ৰিয়তম সন্তান। পাটমহিষীর সঙ্গে চিরবিচ্ছেদের শোকে তাহার হৃদয় বিদীর্ণ