পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थु]ाठा ४६७ दकङख्व् রাজপ্রাসাদের পাষাণ-প্রাচীর বিদীর্ণ করিয়া মহারাণীর কণ্ঠ হইতে একটা প্ৰাণভেদী চীৎকার আকাশ বাতাস কম্পিত করিয়া উখিত হইল। সঙ্গে সঙ্গে “যুবরাজ তোমার বড় সাধের সাভারের সিংহাসন ছাড়িয়া কোথায় গেলে”-এই ঘোর রোলে বহু নারী কণ্ঠের ক্ৰন্দনে রাজপ্ৰসাদ পূর্ণ হইয়া গেল এবং মধ্যে মধ্যে হংসগ্রীবের উচ্ছসিত হোষারব যেন সেই বিশাল কোলাহলের করুণ কান্না বাড়াইয়া দিল । কোথায় গেল সে বিজয়োল্লাস, যুবরাজের আলিঙ্গনের স্বপ্ন, কোথায় গেল ফুলের মালা, ধূপ ও পুষ্পপাত্রের সুরভি, দেবতার আশীৰ্বাদ! যুবরাজ-পত্নী অজ্ঞান হইয়া কঠিন মেঝের উপর পড়িয়া গেলেন। রাজা মহেন্দ্র সেন পুত্ৰশোকে একেবারে অভিভূত হইয়া পড়িলেন। র্তাহার দ্বিতীয় পুত্ৰ কুমার বিশ্বনাথ তখনমাত্ৰ পঞ্চদশ বৎসর বয়স্ক । কৈবৰ্ত্ত নেতাদের একজনের ঘরে এক পরমাসুন্দরী কন্যা ছিল। বহুদিন হইতে রাজার এই পুত্রের সঙ্গে তাহার বিবাহের প্রস্তাব তিনি চালাইয়াছিলেন। এই কৈবৰ্ত্ত নেতার নাম বজধ্বজ। তিনি ছিলেন সুদর্শন, যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ও কথাবাৰ্ত্তা বলিতে নিপুণ। রাজাও তাহার কন্যাটিকে দেখিয়া প্রীত হইয়াছিলেন। যুবরাজের ঘোর অনিচ্ছার জন্য এত দিন এই প্ৰস্তাব অগ্রসর হইতে পারে নাই। কিন্তু তাহার মৃত্যুর পর রাজা একেবারে সংসারে অনাসক্ত হইয়া পড়িলেন, রাজমহিষীকে όνο