পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। 97भवन ७ क७धक র্তাহার স্বামীর আদরে এতই সুখী ছিলেন যে, এই সকল ভৎসনা বা কটুবাক্য র্তাহার মনে কোন দাগ রাখিয়া যাইত না। তিনি কোনদিন ঘূণাক্ষরেও এই অপমানের কথা স্বামীর কাণে তুলিতেন না। এমন কি, সখীরা যদি প্ৰসঙ্গক্রমে এই সকল কথা লইয়া ? ঈষৎ আলোচনা করিত, তবে তিনি বিরক্তির সুরে বলিতেন,- “তিনি বলিবেন না তো কে বলিবে ? আমাকে ভাল মন্দ বলিবার আর কে আছে ? জানিস, গুরুজনের কটুক্তি আমার আশীৰ্বাদ, তাহাতে আমার পাপ খণ্ডিয়া যায়। তোরা এ সকল কথা লইয়া কোন আলোচনা করিতে পারিবি না।” কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর এই ব্যবহারের সঙ্গে অন্য একটি পরিস্থিতি গুরুতর হইয়া উঠিল। বজধ্বজের কন্যার সঙ্গে কুমারের বিবাহের পর রাজপরিবারের সঙ্গে তাহার ঘনিষ্ঠতা অবশ্য বাড়িয়া গেল। মহারাজ তাহাকে মন্ত্রীর পদ দিয়া গৌরব বাড়াইয়াছিলেন। তিনি অন্তঃপুরে এখন অবাধে আনাগোনা করিতে লাগিলেন। তিনি অতিশয় দুশ্চরিত্র ছিলেন। অন্তঃপুরের একটি বনমল্লিকা বা কুন্দের মত শুভ্ৰ বেশধারিণী, অতি পবিত্র দেব-নিৰ্ম্মাল্যের ন্যায় সদ্য বিধবার রূপ তাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করিল। এই রূপের মোহ ক্ৰমশঃ বাড়িয়া গেল এবং এই দৃষ্টি হইতে এড়াইবার জন্য বিধবা বউরাণী যতই চেষ্টা করিতে লাগিলেন ততই তাহার লোলুপতা বাড়িয়াই চলিল। এদিকে মন্ত্রী মহারাণীর নিকট গরুড় পূক্ষীর ন্যায় সর্বদা উপস্থিত থাকিয় তাহার মনস্তুষ্টির জন্য বিবিধ প্রকার চেষ্টা করিতেন। রাজবাড়ীর সকলেই তাহার সৌজন্যে মুগ্ধ Գ@