পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল মহারাণী মহাক্রোধাভরে স্বর্ণ নূপুর বাজাইয়া রাজার নিকট যাইয়া তিলকে তাল করিয়া বৰ্ণনা করিতেন। রাজা বলিতেন,- “সদ্য বিধবা উহার মন কি ঠিক আছে ? ক্ষুদ্র বিষয়ে বিচলিত হইয়া পড়েন ।” . হাতের কঙ্কণের ঝঙ্কারে একটি রণদামামার সুর বাজাইয়া তিনি বলিতেন,-“তোমার বিচারই এইরূপ। আমাদের পরম আত্মীয় এই লোকটি ; উহার মেয়েটিকে কি দেখিতে ইচ্ছা হয় না ? তোমাদের রাজবাড়ীর যে কি ঢালাই-করা লৌহের বিধান। বিধিবদ্ধ হইয়া আছে, একবার যে বধুবেশে এ পুরীতে প্ৰবেশ করে, তাহার ভাগ্যে পিতামাতার বাড়ীতে সহজে যাওয়ার উপায় থাকে না ! তাই বলিয়া বাৎসল্য তো পিঠালির আলিপনার মত সহজে মুছিয়া ফেলা যায় না। এইজন্য সময়ে-অসময়ে মন্ত্রী মেয়েটিকে দেখিতে আসেন ; তাহাতে যদি প্ৰতিদিনই তিনি এইরূপ অপমানিত হ’ন, তবে আর কি করিবেন ? এ বাড়ীতে আসা তীহাকে ছাড়িয়া দিতে হইবে।” ক্ষুব্ধ হইয়া রাজা বলেন,-“তুমি মৃদুভাবে উহাকে একটু বুঝাইয়া বলিতে পারে ; বৌমাকে ত’ তেমন অবুঝ বলিয়া আমার মনে হয় না ।” ক্ৰোধকম্পিত স্বরে রাণী বলেন,-“আমি বহু বুঝাইয়াছি, কিন্তু ‘চোরা না শুনে ধৰ্ম্মের কাহিনী’ ; কামারের রাত দিনের ঠকাঠক, কিন্তু কাঠুরের এক ঘাঁ। তুমি যদি একটু বিরক্তি প্ৰকাশ কর, তবে সাধ্য কি যে এই মেয়ে এরূপ ব্যবহার করিতে উৎসাহ পায় ! A