পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a ve KSSSF যে বিবাহের অল্পদিনের মধ্যে স্বামীকে এমনভাবে খাইয়াছে, তাহার এই সকল দুর্ব্যবহার আমি কিছুতেই সহ্য করিব না। তুমি ইহার জন্য ভিন্ন প্রাসাদের বন্দোবস্ত করিয়া দাও। আর এ বাড়ীর মেয়েদের জিজ্ঞাসা করিয়া দেখ, মন্ত্রীর কোন দোষ আছে কিনা।” রাজা-“আমি কি খোকাকে একঘরে” করিয়া দিব ? তাহা হইলে আমি কি লইয়া বঁচিব ?” মহারাণী—“কেন, খোকা তোমার ও আমার কাছে থাকিবে। আমাদের কাছে কি কিছু কম আদর পাইতেছে ?” রাজা—“পিতৃহারা একটুখানি ছেলে, ইহাকে মাতৃক্রোড় হইতে বঞ্চিত করিব ?” রাণী—“বউকে তাড়াইয়া দিতে বলিতেছি না। তাহাকে কি একটু শাসন করাও তোমার পক্ষে সম্ভবপর নহে ?” মহারাণীর চীৎকার, ফুৎকার ও অবিরত উচ্ছসিত কান্নার জালায় অতিষ্ঠ হইয়া রাজা সেদিন যথাসম্ভব সৌজন্য ও স্নেহের সুরে যাহা বলিলেন, তাহাতে কোনদিকে কাহারও উপকার হইল ন। রাণী ভাবিলেন, তাহার ক্ষত স্থানের জ্বালা দূর করা দূরের কথা, রাজা যেন অপরাধীর মত বিধবা রাণীরই মনস্তুষ্টির চেষ্টা করিতেছেন। তিনি নিরাশ হইয়া মুখ বাকাইয়া চলিয়া গেলেন। এদিকে স্বর্ণমণ্ডুৱী মন্ত্রীর ব্যবহারে এরূপ মৰ্ম্মাহত ও ভীত হইয়। পড়িয়াছিলেন যে, স্বামীকে স্মরণ করিয়া তাহার দুই চক্ষে জলধারা। বহিতে লাগিল, এবং ষে রাজা তাহার দিকে শোকে চাহিতে 6b