পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

jfale" veg KS Geyer সাহসী হন নাই, নিজের চোখের জল সামলাইতে না পারিয়া বালকের মত ভাঙ্গিয়া পড়িতেন, সেই রাজার মুখে অকারণ গঞ্জনা, তাহা যতই বিনয় ও স্নেহের সুরে কথিত হইয়া থাকুক না। কেন, তঁাহার হৃদয়ে শেলের মত বিদ্ধ হইতে লাগিল। তাহার মনে হইল, তিনি বিষ খাইয়া এই দুর্বিবষহ জীবনের শেষ করিতে পারিলেই ভাল । কিন্তু ঘটনার গতি ইহা হইতেও দূরে গড়াইল। মন্ত্রী যখন দেখিলেন, রাজবাড়ীর সকলেই তাহার প্রতি অনুকুল, এবং স্বর্ণমণ্ডুৱী লজ্জায় জড়িত, এখন যদি তিনি একটু দুঃসাহসের কাজ করেন, তবে লজ্জার দরুণই হোক, বা অপমানের হাত হইতে আত্মসম্মান রক্ষার উদ্দেশ্যেই হোক, বিধবা রাণী তাহা সহিয়া লাইবেন। অনেক সময় পুরুষ ব্ৰীড়াজড়িত পদে অগ্রসর হইলে তাহার অভীষ্ট সিদ্ধ হয় না,-তাহাকে একটু ভয় ভাঙ্গাইতে হয়। সেইদিন ছোট কুমার তাহার এক বন্ধুর সঙ্গে বনভ্রমণে গিয়াছিলেন। এই সুযোগে মন্ত্রী তাহার মেয়ের গৃহে রাত্ৰি দ্বিপ্রহরী পৰ্য্যন্ত থাকিয়া স্বর্ণমণ্ডুৱী দেবীর আনাগোনার পথে ওঁৎ পাতিয়া ছিলেন। তাহার পাশ্ববৰ্ত্তী মহাল হইতে বিধবা রাণীর কপাট খুলিবার শব্দ শুনা মাত্র তিনি বাহির হইয়া আসিয়া দেখিলেন, বউরাণী বাহিরে যাইতেছেন। তখন হঠাৎ আলো নিভাইয়া তিনি তঁহাকে জাপটাইয়া ধরিলেন। স্বর্ণমঞ্জুরীর চীৎকারে অন্তঃপুরিকার। সকলে উপস্থিত হইয়া দেখিল, মন্ত্রী তাহার চোখে-মুখে জল সিঞ্চন করিতেছেন। বিধবা বউরাণী ԳՃ