পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল উহাকে সোহাগে সোহাগে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিতেন ! হায়, অবস্থার কি নিদারুণ বিপৰ্য্যয় !” আঁধার পথে এক রমণী । সাভারের হরিশ্চন্দ্র রাজার বাড়ী ছাড়িয়া তিনি কখন শ্ৰীপুর আসিয়াছেন, কখন শিশুপাল রাজার আম-কঁাটালের গড় ও বোধিসত্ত্বের বিশাল আকাশ-চুম্বী মন্দির ছাড়াইয়া শ্ৰীপুর, চাদনা ও পরে চৌরায় আসিয়া পৌছিয়াছেন, তাহা তাহার জ্ঞান নাই। সুকোমল চরণদ্বয় কণ্টক-বিদ্ধ, পদািত্বক যেন অবশ হইয়া গিয়াছে, তবুও তাহার গতির বিরাম নাই। তাহার দেহ যেন একটা যন্ত্র । মন্ত্রী ব্যান্ত্রের ন্যায় তাহাকে ধরিয়াছিল, সেই ধরার ফলে র্তাহার চেতনা যেন লুপ্ত হইয়া গিয়াছে, তাহার দেহের সুখ-দুঃখজ্ঞান নাই। চৌরার নিকট কাপাসিয়ায় আসিয়া তিনি দেখিলেন, পূর্বকাশে লাল রং দেখা দিয়াছে—যেন সপ্তাশ্বযোজিত সুবর্ণরথে চড়িয়া দিনমণি আসিতেছেন । সেই রথের উদ্ধে অরুণের আভা যেন একখানি রক্ত পতাকা । প্ৰভাত-বায়ু নিকটস্থ তড়াগের পদ্মবন হইতে সুরভি কুড়াইয় তাহার মুখ কোমল ভাবে স্পর্শ করিতেছে এবং খোকার নিদ্রা গাঢ় হইতে গাঢ়তার করিয়া তুলিতেছে। । ক্ৰমশঃ দশদিক পাহাড়িয়া দেশের নানারূপ পাখীর কলরবে। মুখরিত হইয়া উঠিল। রাজবধু স্বর্ণ-খচিত পিঞ্জরার মধ্যে আবদ্ধ পাখীর ডাক শুনিয়া অভ্যস্ত। কিন্তু আজ এই মুক্ত পাহাড়িয়া দেশের নানা পাখীর সুর কি না মিষ্টই শুনাইতেছে! যেন একখানি বীণার তার অবাধ আনন্দে বাজিতেছে ও মেঘের স্তর b^○