পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBBBB BDDDD S DDB BuD DDBDB BD DBBDBDB ঘটে না বাঙলাদেশের সেই সব নরনারীর মধ্যে বাঙলার মাধ্যমে জ্ঞানবিস্তার করিবার উদ্দেশ্যে বিশ্বভারতী লোকশিক্ষা-সংসদ প্রতিস্ঠা করেন। রবীন্দ্রনাথের এক পত্র হইতে তাঁহার অভিপ্রায় কি ছিল জানিতে পারি। তিনি লিখিয়াছিলেন : “দেশের যে সকল পরিষ ও সন্ত্রীলোক নানা কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সংযোগ থেকে বঞ্চিত, তাঁদের জন্য ছোটো বড়ো প্রাদেশিক সহরগলিতে যদি পরীক্ষাকেন্দ্ৰ স্থাপন করা যায়, তবে অনেকেই অবসর মতো ঘরে বসে নিজেকে শিক্ষিত করতে উৎসাহিত হবেন। নিম্পনতন থেকে উচ্চতন পাব পর্যন্ত তাঁদের পাঠ্যবিষয় নিদিলেট করে, তাঁদের পাঠ্যপস্তক বোধে দিলে, সবিহিত ভাবে তাঁদের শিক্ষা নিয়ন্ত্রিত হতে পারবে। এই পরীক্ষার যোগে যে-সকল উপাধির অধিকার পাওয়া যাবে সমাজের দিক থেকে তার প্রয়োজনীয়তার মাল্য আছে।” শেষোক্ত প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য—“(ক) প্রাচীন ও আধনিক বঙ্গসাহিত্যের পরিচয় । (খ) বঙ্গভাষার আভিজাত্য সংরক্ষণ।” এবং তাঁহাদের মতে এই উদ্দেশ্যসাধনের উপায় “প্রবাসী বঙ্গ-সাহিত্য-সম্মেলন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পরীক্ষা-পরিষদ দ্বারা নিদি ভ্ৰাট কেন্দ্ৰে আপাতত বৎসরে একবার মাত্র প্রবেশিকা এবং উপাধি পরীক্ষা গ্রহণ করা।” উভয় প্রতিস্ঠানের অভিপ্রায় একরােপ অভিন্ন। উপায়ও প্রায় সমান। তবে পাঠ্যক্রম প্রভৃতি সম্পবন্ধে কিছ কিছ পার্থক্য আছে। উভয় প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিত হইতে হইলে এই পার্থক্য দর করিতে হইবে। তাহা না হইলে পাঠ্যতালিকার ভেদে কোনো ক্ষতিবদ্ধি নাই। যে উদ্দেশ্যে এই সকল প্রতিস্ঠান স্থাপিত হইয়াছে তাহা সিদ্ধ হইলে সবাতোভাবে জাতির পক্ষে কল্যাণজনক হইবে, তাহাতে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু এই পরীক্ষা-গ্রহণের সহিত নিরক্ষর দেশবাসীকে আ আ ক খ হইতে আরম্ভ করিয়া বাঙলা লেখাপড়া শিখাইবার কোনো সম্পবিন্ধ নাই। তাহার জন্য সর্বতন্ত্র ব্যবস্থা আবশ্যক। সে ব্যবস্থা প্রণয়নে ইহাদের সাহায্যই সবাগ্রে প্রয়োজন হইবে। মাতৃভূমিকে আমরা যদি দেবী বলিয়া—সবগাদপি গরীয়সী বলিয়া জ্ঞান করি, তবে মাতৃভাষাকেও পরমারাধ্যা বলিয়া জ্ঞান করিব। সৌভাগ্যের কথা, অন্ধভক্তির বশবতী হইয়া আমাদের ভাষাকে আরাধনা করিবার Ծ) Գ