পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আক্ষেপের কোন কারণ নাই। তাঁহাদের অদম্য উৎসাহ এবং অক্লান্ত অধ্যবসায়ের সংস্পশোঁ পিতলের প্রদীপই সোনা হইয়া উঠিবে। সমিতির শিক্ষাদান কায সম্ভবত বালকবালিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রাখিয়া বয়স্কদিগের মধ্যেও পরিব্যাপ্ত করা হইয়াছে। যদি এখনও না হইয়া থাকে, তবে অবিলম্বোেবই তাহা করা প্রয়োজন। কেবল শিশ অথবা কেবল বয়স্কের মধ্যে শিক্ষাদান আবদ্ধ রাখিলে সমিতির মােখ্য উদ্দেশ্য সার্থকতা ब्लाउछ कर्गद्वCद ना । সময়ের মাল্য বর্তমান যাগে অত্যন্ত অধিক। দীঘকাল ধরিয়া পঠনপাঠনের সময় কেহ পাইবে না। যে সম্প্রদায়ের পাঠাথী লইয়া সমিতির কাজ, তাহদের অবসর অতি অলপ। এই অলপ সময়ের উপযক্তি ব্যবহার হইতেছে কি না, তাহা বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করিতে হইবে। ছয় মাস বা এক বৎসর শিক্ষা পাইয়া একজন নিরক্ষর লোক সব শাস্ত্রে সপন্ডিত হইবে, এমন আশা করা সঙ্গত হইবে না। কিন্তু মাতৃভাষায় অন্তত এতটা অধিকার অজািন করা আবশ্যক, যাহাতে সংবাদপত্রটা পড়িয়া মানে বঝিতে পারে এবং নিজের চিঠিটা অন্যকে দিয়া লিখাইতে বাধ্য না হয়। ইহার সঙ্গে সঙ্গে কিছ সাধারণ জ্ঞানও শিক্ষা দেওয়া আবশ্যক। যে জগতে সে বাস করে, তাহার সম্পবন্ধে যেন একেবারে অন্ধ না থাকে। বয়স্ক এবং অলপবয়স্ক পাঠাথীর পাঠক্রম এবং শিক্ষা-ব্যবস্থা একরপ হইলে চলিবে না। কারণ উভয়ের গ্রহণশক্তি ও ধারণাশক্তি একরপ নয়। তাহা ছাড়া একটি ছয় বৎসরের শিশর কাছে যে পাঠ মনোজ্ঞ হইবে, একজন মধ্যবয়সী শ্রমিকের পক্ষে সেই পাঠ হৃদয়গ্রাহী হইবার সম্ভাবনা অলপ। এদিকে চিন্তা করিয়া পাঠ্যনিৰ্ণয় ও পাঠক্রম স্থির করিতে হইবে। বতর্তমান আয়োজন অলপ বলিয়া হতাশ হইবার কারণ নাই। ক্ষদ্র অঙ্কুরের মধ্যেই বািহতের সম্ভাবনা প্রচ্ছন্ন থাকে। ভারতবর্ষে শিক্ষা, সভ্যতা এবং সবাদেশিকতা প্রচারে বাঙালীর দান অসামান্য। বঙ্গের বাহিরে বাঙালীরা যে প্রদেশেই গিয়াছেন, সেই প্রদেশকেই সর্বদেশ বলিয়া তাহার উন্নতিবিধানে আত্মনিয়োগ করিয়াছেন। মাদ্রাজ, মহীশর, পঞ্জাব, যক্তিপ্রদেশ, উড়িষ্যা এবং ভারতের অন্যান্য স্থানে তাহার সম্প্রচুর নিদর্শন আছে। নিঃস্বাৰ্থ সেবাপরায়ণতা বাঙালীর জাতীয় ধম, সংকীর্ণ প্রাদেশিকতার ক্ষদ্রতর সবার্থের মোহ কখনো VS