পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমস্যা দেখা দিয়াছে। এই সমস্যাগলির সন্তোষজনক সমাধান না। হইলে বাঙালী সমাজ সম্পমানের সঙ্গে বাঁচিতে পরিবে না। হীন এবং দাবাল হইয়া পড়িলে বাঙলাদেশ ভারতবর্ষকেও দর্বল করিবে, কেননা অংশের শক্তিই সমগ্রের শক্তির উৎস। দগতি হইতে বাঙলাদেশকে বাঁচাইবার ভার সমগ্র বাঙালী সমাজের উপর। আজ কি উপায়ে সেই মহৎ কতব্য পালন করা সম্ভব তাহাই আপনাদিগকে ভাবিতে বলি। এ-বিষয়ে গত শতাব্দীতে যে সমস্ত মনীষীর প্রতিভার জন্য আজ বাঙালী শ্ৰদ্ধেয়, তাঁহাদের জীবন হইতে আমরা এক বিশেষ শিক্ষালাভ করিতে পারি। বস্তুতঃ আজিকার দিনে এই শিক্ষা গ্রহণেরই প্রয়োজন হইয়াছে। সবামী বিবেকানন্দ বলিয়াছেন—“চালাকির দ্বারা কোন মহৎ কাব্য হয় না।” এই পরম সত্য কথা আজ বিশেষভাবে সমরণ করিবার সময় হইয়াছে। সাধনা ও নিষ্ঠা, সততা ও শঙখলাপরায়ণতা, নিয়মানবাঁতিতা ও শ্রমশীলতা অবলম্বন না করিয়া আমরা বড় হইতে পারিব না। এই গণসমন্টির অভাবে জাতি বাঁচিতেই পারে না, বড় হওয়া দরের কথা। কিছকাল পাবেও শিক্ষা, সাহিত্য এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে অগ্রণী হইয়া বাঙালী ভারতে নেতৃত্বের অধিকার পাইয়াছিল। ইহার পিছনে ছিল বাঙালীর বিরাট সাধনা। আজিকার দদিন অতিক্রম করিতে হইলে আমাদের পবিবতীর্ণগণ যে সাধনার বলে বড় হইয়াছিলেন তাহারই অনশীলন করা কতব্য। আজ আমরা যে সংকটের মধ্যে আসিয়া দাঁড়াইয়াছি বাঙালী-সমাজের ইতিহাসে এমন সংকট ইতিপবে আসে নাই। প্রথম হইতে বাঙালী ভারতের সবাধীনতা আন্দোলনে অগ্রণী হইয়া দীঘকাল ধরিয়া ত্যাগসস্বীকার করিয়া আসিয়াছে। ভারতের সর্বাধীনতা অজানের জন্য শেষ পযন্ত বাঙলাকে খণিডত হইতে হইয়াছে। জীবনের সবক্ষেত্রে ইহার নিদারণ প্রতিক্রিয়া হইতে বাঙালী সমাজের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাহিত্যিক ভবিষ্যৎকে বাঁচাইতে হইলে বাঙালীকে আবার পরষসিংহের মত দাঁড়াইতে হইবে। শািন্ধ পবগৌরবের কথা প্রচারের দ্বারা শ্লাঘা বোধ করিলে চলিবে না, অথবা বতমান দীদশার কথা বারবার ঘোষণা করিয়াও মাক্তি আসিবে না। কঠিন হস্তে সকল মলিনতা ও দর্বলতাকে দরি করিতে হইবে এবং সর্বীয় চরিত্রশক্তি সম্পবল করিয়া কতব্যসাধনের ক্ষেত্রে অগ্রসর হইতে হইবে; G R