শ্ৰীকান্ত & পিসিম ভাতকণ্ঠে প্রশ্ন করিলেন, আচ্ছ, ওর মা কি বারণ করে না ? গোসাইবাগানে কত লোক যে সাপে-কামড়ে মরেচে, তার সংখ্যা নেই—আচ্ছ, ও জঙ্গলে এত রাত্তিরে ছোড়াটা কেন ? বড়দা একটুখানি হাসিয়া বলিলেন, আর কেন । ও-পাড় থেকে এ-পাড়ায় আসার এই সোজ পথ। যার ভয় নেই, প্রাণের মায়া নেই, সে কেন বড় রাস্ত ঘুরতে যাবে ম ? ওর শিগগির আস নিয়ে দরকার। তl, সে-পথে নদী-নালাই থাক আর সাপখোপ বাঘ-ভালুকই থাক্ । ধন্ত ছেলে ! বলিয়৷ পিসিম একটা নিশ্বাস ফেলিয়া চুপ করিলেন । বঁাশীর স্বর ক্রমশঃ সুস্পষ্ট হইয়। আবার ধীরে ধীরে অপষ্ট হইয়া দূরে মিলাইয় গেল। এই সেই ইন্দ্রনাথ । সেদিন ভাবিয়াছিলাম, যদি অতখানি জোর এবং এমনি করিয়া মারামারি করিতে পারিতাম ! আর আজ রাত্রে যতক্ষণ না ঘুমাইয় পড়িলাম, ততক্ষণ কেবলই কামনা করিতে লাগিলাম—যদি অমনি করিয়৷ বাঁশী বাজাইতে পারিতাম । কিন্তু কেমন করিয়া ভাব করি । সে যে আমার অনেক উচ্চে । তখন ইস্কুলেও সে আর পড়ে না। শুনিয়াছিলাম, হেডমাষ্টার মহাশয় অবিচার করিয়া তাহার মাথায় গাধার টুপি দিবার আয়োজন করিতেই সে মৰ্ম্মাহত হইয়া ঘৃণাভরে ইস্কুলের রেলিঙ ডিঙাইয়া বাড়ী চলিয়া আসিয়াছিল, আর যায় নাই । অনেকদিন পরে তাহার মুখেই শুনিয়াছিলাম, সে অপরাধ অতি অকিঞ্চিৎ । হিন্দুস্থানী পণ্ডিতজীর ক্লাশের মধ্যেই নিদ্রাকর্ষণ
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।