পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত ১৯৭৯ করিয়া বলিবে ? আজ সকালেই সেই প্রবীণ ব্যক্তিটি বলিয়াছিলেন, বাবুজী মৃত্যুর পরে সে কিছুই থাকে না, অসহায় প্রেতাত্মারা যে আমাদের মতই সুখ-দুঃখ, ক্ষুধা-তৃষ্ণ লইয়া বিচরণ করে না, তাহা কদাচ মনে করিয়ে না । এই বলিয়া তিনি রাজt বিক্রমাদিত্যের গল্প, তাল-বেতাল সিদ্ধির গল্প, আরও কত তান্ত্রিক সাধু-সন্ন্যাসীর কাহিনী বিবৃত করিয়াছিলেন । আরও বলিয়াছিলেন যে, সময় এবং সুযোগ হইলে তাহারা যে দেখা দিতে. কথা কহিতে পারে না বা, করে না, তাহাও ভাবিয়ে না ; তোমাকে আর কখনো সেস্থানে যাইতে বলি না ; কিন্তু যাহার} এ কাজ পারে, তাহদের সমস্ত দুঃখ যে কোনদিন সার্থক হয় না, এ কথা স্বপ্নেও অবিশ্বাস করিয়ো না ! তখন সকাল-বেলার আলোর মধ্যে যে কথাগুলো শুধু নিরর্থক হাসির উপাদান আনিয়! দিয়ছিল, এখন সই কথাগুলোই এই নির্জন গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে আর একপ্রকার চেহার লইয়। দেখা দিল । মনে হইতে লাগিল, জগতে প্রখ্যক্ষ সত্য যদি কিছু থাকে ত সে মরণ । এই জীবনব্যাপী ভাল-মন্দ, সুখ-দুঃখের অবস্থাগুলো যেন আতসবাজার বিচিত্র সাজ-সরঞ্জামের মত শুধু একটা কোন বিশেষ দিনে পুড়িয়া ছাই হইবার জন্যই এত যত্নে এত কৌশলে গড়িয় উঠতেছে। তবে মৃত্যুর পরপারের ইতিহাসট। যদি কোন উপায়ে শুনিয়া লইতে পারা যায়, তার চেয়ে লাভ আর আছে কি ? তা সে যেই বলুক এবং যেমন করিয়াই বলুক না ! হঠাৎ কাহার পায়ের শব্দে ধ্যান ভাঙ্গিয় গেল । ফিরিয়t দেখিলাম শুধু অন্ধকার—কেহ কোথাও নাই। একট। গা ঝাড়?