শ্ৰীকান্ত سbه نام দিয়া উঠিয় দাড়াইলাম। গত রাত্রির কথা স্মরণ করিয়া নিজের -মনে হাসিয়া বলিলাম, না, আর বসে থাকা নয়। কাল ডান কানের উপর নিশ্বাস ফেলে গেছে, আজ এসে যদি বঁ। কনের উপর সুরু করে দেয় ত বড় সোজা হবে না । কতক্ষণ যে বসিয়৷ কাটাইয়াছি, এখন রাত্রি কত, ঠিক ঠাহর করিতে পারিলাম না । বোধ হয় যেন দ্বিপ্রহরের কাছাকাছি । কিন্তু এ কি ? চলিয়াছি ত চলিয়াছি—এই সঙ্কীর্ণ পায়ে-চলা পথ যে আর শেষ হয় না। এতগুলো তাবুর একটা আলোও যে চোখে পড়ে না! অনেকক্ষণ হইতে সম্মুখে একটা বঁাশঝাড় দৃষ্টিরোধ করিয়া বিরাজ করিতেছিল, হঠাৎ মনে হইল, কৈ এটা ত আসিবার সময় লক্ষ্য করি নাই! দিক ভুল করিয়া ত আর একদিকে চলি নাই ? আরো খানিকট অগ্রসর হইতেই টের পাইলাম সেটা বঁাশঝাড় নয়, গোটা-কয়েক তেঁতুলগাছ জড়াজড়ি করিয়া দিগন্ত আবৃত করিয়া অন্ধকার জমাট বাধাইয়া দাড়াইয়া আছে ; তাহারই নীচে দিয়া পথট আঁকিয়া-বাকিয় অদৃশ্য হইয়৷ গিয়াছে। যায়গাটা এমনি অন্ধকার যে নিজের হাতটা পৰ্য্যন্ত দেখ। যায় না। বুকের ভিতরটা কেমন যেন গুর গুরু করিয়া উঠিল—এ যাইতেছি কোথায়? চোখ কান বুজিয়া কোনমতে সেই তেঁতুলতলাটা পার হইয়া দেখি, সম্মুখে অনন্ত কালো আকাশ যতদূর দেখা যায়, ততদূর বিস্তুত হইয়া আছে। কিন্তু স্বমুখে ওই উচু যায়গাট কি ? নদীর ধারের সরকারী বাধ নয় ত ? ৰাধই ত বটে। প: দুটা যেন ভাঙ্গিয়া আসিতে লাগিল ; তবুও টানিয়া টানিয়া কোনমতে তাহার উপর উঠিয়া দাড়াইলাম । যা ভাবিয়ছিলাম,
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/১১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।