শ্ৰেীকান্ত Se> ঠিক তাই। ঠিক নীচেই সেই মহাশ্মশান ! আবার কাহার পদশব্দ সুমুখ দিয়াই নীচে শ্মশানে গিয়া মিলাইয়া গেল। এইবার টলিয়া টলিয়৷ সেই ধূলা-বালুর উপরেই মুছিতের মত ধপ, করিয়া বসিয়া পড়িলাম। আর আমার লেশমাত্র সংশয় রহিল না যে, কে আমাকে এক মহাশ্মশান হইতে আর এক মহাশ্মশানে পথ দেখাইয় পৌছাইয়া দিয়া গেল। সেই যাহার পদশব্দ শুনিয়! ভাঙা ঘাটের উপর গা ঝাড় দিয়া উঠিয় দাড়াইয়াছিলাম, তাহার পদশব্দ এতক্ষণ পরে ওই সম্মুখে মিলাইল । छs কেমন করিয়াই যে এই অন্ধকার নিশীথে একাকী পথ চিনিয়া দীঘির ভাঙাঘাট হইতে এই শ্মশানের উপকণ্ঠে আসিয়া উপস্থিত হইলাম, এবং কাহারই ব৷ সেই পদধ্বনি এই মাত্র তুমুখে মিলাইয়া গেল, এ সকল প্রশ্নের মীমাংসা করিবার মত বুদ্ধি আমার নাই— কিন্তু তাই বলিয়৷ প্রেতযোনি স্বীকার করাও এ স্বীকারোক্তির প্রচ্ছন্ন তাৎপর্য নয়। কারণ নিজের চোখেই ত দেখিয়া'ছ— আমাদের গ্রামেই একটা বদ্ধ পাগল ছিল ; সে দিনের-বেল বাড়ী বাড়ী ভাত চাহিয়া খাইত, আর রাত্রিতে একটা ছোট মইয়ের উপর ক্টোচার কাপড়টা তুলিয়া দিয়া, সেট স্বমুখে উচু করিয়া ধরিয়া পথের ধারের বাগানের মধ্যে গাছের ছায়ায় ঘুরিয়ী বেড়াইত। সে চেহারা দেখিয়া অন্ধকারে কত লোকের যে স্নাতকপাটি লাগিয়াছে, তার অবধি নাই। কোন স্বাৰ্থ নাই,
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/১১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।