শ্ৰীকান্ত ১১৩ মামিয়া গিয়া ঠিক মধ্যস্থলে একেবারে চাপিয়া বসিয়া • পড়িলাম। কতক্ষণ যে এখানে এইভাবে স্থির হইয়াছিলাম, তখন হু’স ছিল না । হু স হইলে দেখিলাম, তেমন অন্ধকার আর নাই— আকাশের এক প্রান্ত যন স্বচ্ছ হুইয়! গিয়াছে ; এবং তাহারই অদূরে শুকতার দপ দপ, করির ছলিতেছে । একট। চাপ কথাবাৰ্ত্তার কোলাহল কানে গল । ঠাহর করিয় ,দখিলাম, দুরে শিমুল গাছের আড়ালে বাধের উপর দিয়া কাহার। যেন চলিয়। আসি•েছে ; এবং •াহদের দুই-চারিট, লণ্ঠনের আলোকও আশে পাশে ই স্ত : তুলিতেছে । পুনৰবার সাধের উপর উঠিয়৷ সেই আলেকেই দেখিলাম, দুইখানা গরুর গাড়ীর অগ্রপশ্চাৎ জলকয়েক লোক এই দিকেই অগ্রসর হইতেছে । বুঝিলাম, কাহার। এই পথে ষ্টেশনে যাইতেছে । মাথায় সুবুদ্ধি আসিল যে, পথ চাড়িয় আমার দূরে সরিয়া যাওয়া আবশ্যক । কারণ আগম্বুকের দল য " বুদ্ধিমান এব” সাহসাই হাক, হঠাৎ এই অন্ধকার রাত্রি•ে এরূপ স্থানে আমাকে একাকী ভূতের মত দাড়াইয়া থাকিতে দেখিলে, আর কিছু না করুক একট। বিষম হৈ হৈ রৈ রৈ চীৎকার তুলিয়। দিবে, তাহাতে ংশয় নাই । ফিরিয়া আসিয়। পুর্লনস্থানে দাড়াইলাম, এমনি সময়ে সেই বৃক্ষান্তরাল হইতে সু-উচ্চ কণ্ঠের ডাক কানে গেল, শ্ৰীকান্তবাবু— সাড়া দিলাম, কে রে রতন ? আজ্ঞে, ই বাবু, আমি। একটু এগিয়ে আমুন। b*
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/১১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।