ృ8 ঐীকান্ত সে আবার হাসিল । কহিল, ভয় কি রে ; সেই ত মজা । তা ছাড়া অন্ধকার না হ'লে কি মাছ পাওয়া যায় ? সাতার জানিস্ ? খুব জানি । তবে আয় ভাই ! বলিয়। সে আমার একটা হাত ধরিল। কহিল, আমি একলা এত স্রোতে উজোন-বাইতে পারিনে— একজন কাউকে খুজি, যে ভয় পায় না । আমি আর কথা কহিলাম না । তাহার হাত ধরিয়া নিঃশব্দে রাস্তার উপর আসিয়া উপস্থিত হইলাম । সে যে কত বড় আকর্ষণ, তাহ তখন বিচার করিয়া দেখিবার আমার সাধই ছিল ন। অনতিকাল পরে গোসাইবাগানের সেই ভয়ঙ্কর বনপথের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইলাম এবং ইন্দ্রকে অনুসরণ করিয়া স্বপ্নাবিস্টের মত তাহ অতিক্রম করিয়া গঙ্গার তীরে আসিয়া দাড়াইলাম । খাড়া কাকরের পাড়। মাথার উপর একটা বহু প্রাচীন অশ্বথবৃক্ষ দাড়াইয়া আছে এবং তাহারই প্রায় ত্রিশ হাত নীচে সূচীভেদ্য আধার। পরিপূর্ণ বর্ষার গভর জলস্রোত ধাক্কা খইয়া, আবৰ্ত্ত রচিয়া উদাম হইয়া ছুটিয়াছে। দেখিলাম, সেইখানে ইন্দ্রের ক্ষুদ্র তরীখানি বাধা আছে। - আমি নিজেও নিতান্ত ভীরু ছিলাম না। কিন্তু ইন্দ্র যখন উপর হইতে নীচে একগাছি রজ্জ্ব দেখাইয়া কহিল, ডিঙির এই দড়ি ধ’রে পা-টিপে টিপে নেবে যা ; সাবধানে নাবিস্, পিছলে পড়ে গেলে আর তোকে খুজে পাওয়া যাবে না ; তখন যথার্থই
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।