শ্ৰীকান্ত ›ዊ) পড়লে ডিঙি শুদ্ধ আমরা সব গুড়িয়ে যাব। তুই দাড় টানতে পারিস ? পারি। তবে টান। আমি টানিতে শুরু করিলাম। ইন্দ্র কহিল, উই—উই যে কালে মত বী-দিকে দেখা যায়, ওটা চড়া। ওরি মধ্যে দিয়ে একটা খালের মত আছে, তারি ভিতর দিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে, কিন্তু খুব আস্তে—জেলের টের পেলে আর ফিরে আসতে হবে না। লগির ঘায়ে মাথ। ফাটিয়ে পাঁকে পুতে দেবে। এ আবার কি কথা ! সভয়ে বলিলাম, তবে ওর ভিতর দিয়ে নাই গেলে ! ইন্দ্র বোধ করি একটু হাসিয়া কহিল, আর ত পথ নেই। এর মধ্যে দিয়ে যেতেই হবে । বড় চড়ার বঁদিকের রেষ ঠেলে জাহাজ যেতে পারে ন—আমরা যাব কি ক’রে ? ফিরে আসতে পারা যাবে, কিন্তু যাওয়া যাবে না । তবে মাছ চুরি করে কাজ নেই ভাই, বলিয়াই আমি দাড় তুলিয়া ফেলিলাম। চক্ষের পলকে নৌকা পাক খাইয়া পিছাইয়। গেল। ইন্দ্র বিরক্ত হইয়। ফিস্ ফিস্ করিয়া উঠিল—তবে এলি কেন ? চল তোকে ফিরে রেখে আসি—কাপুরুষ ! তখন চোঁদ পার হইয়া পোনরয় পড়িয়াছি—আমাকে কাপুরুষ ? ঝপাৎ করিয়া দাড় জলে ফেলিয়া প্রাণপণে টান দিলাম। ইন্দ্র খুসি হইয়া বলিল, এইত চাই । কিন্তু আস্তে ভাই—ব্যাটারা ভারী পাজী । আমি ঝাউবনের পাশ দিয়ে মক্কাক্ষেতের ভিতর দিয়ে এমনি বার করে নিয়ে যাব যে শালার টেরও পাবে না। २
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।