শ্ৰীকান্ত *OC: আর আমার মনে নাই । যখন চোখ চাহিলাম তখন অন্ধকার নাই —ণেীক। কিনারায় লাগানো। ইন্দ্র আমার পায়ের কাছে বসিয়াছিল , কহিল এইটুকু হেটে যেতে হবে ঐ কান্ত, উঠে ব’স্ । চার গঙ্গার ধারে ধারে চলিয়া সকাল-বেল রক্তচক্ষু ও একান্ত -শুস্ক স্নান মুখে বাটী ফিরিয়া আসিলাম। একটা সমারোহ পড়িয়া গেল। এই যে ! এই যে ! করিয়া সবাই সমস্বরে এমনি অভ্যর্থনা করিয়া উঠিল যে, আমার হৃৎপিণ্ড থামিয়া যাইবার উপক্রম হইল । যতীনদ। প্রায় আমার সমবয়সী । অতএব তাহার আনন্দটাই সর্ববাপেক্ষ প্রচণ্ড । সে কোথা হইতে ছুটিয়া আসিয়া উন্মত্ত চাংকার শব্দে—এসেচে শ্ৰীকান্ত—এই এল মেজদা ! বলিয়া বাড়ী ফাটাইয়া আমার আগমন-বাৰ্ত্ত ঘোষণা করিয়া দিল, এবং মুহূৰ্ত্ত বিলম্ব না করিয়া পরম সমাদরে আমার হাতটি ধরিয়া টানিয়া আনিয়া বৈঠকখানায় পাপোষের উপর দাড় করাইয়া দিল । সেখানে মেজদা গভীর মনোযোগের সহিত পাশের পড়া পড়িতেছিলেন। মুখ তুলিয়া একটিবার মাত্র আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া পুনশ্চ পড়ায় মন দিলেন। শাস্তি দিবার এত বড় মহেন্দ্রযোগ তাহার ভাগ্যে আর কখনও ঘটিয়াছে কি ন৷ -সন্দেহ ।
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।