শ্ৰীকান্ত صو۹OW কাপড় ছাড়াইয়া দিলেন এবং পেট ভরিয়া গরম গরম জিলাপি আহার করাইয়া বিছানায় শোয়াইয়া দিয়া—বহির হইতে শিকল বন্ধ করিয়া চলিয়া গেলেন । মিনিটু-পাঁচেক পরেই খুট করিয়া সাবধানে শিকল খুলিয়া ছোড়দা হাপাইতে ছাপাইতে আসিয়া একটুখানি দম্ লইয়৷ ফিস্ ফিস করিয়া কহিল, মেজদাকে মা কি হুকুম দিয়েচে জানিস্ ? আমাদের কোন কথায় তার থাকবার জে-টি নেই। তুই, আমি, য’তে একঘরে পড়ব—মেজদ। অন্য ঘরে পড়বে। আমাদের পুরাণে পড়া বড়দা দেখবেন । ওকে আমরা আর কেয়ার করব না ! বলিয়া সে দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ একত্র করিয়া সবেগে আন্দোলিত করিয়া দিল । যতীনদাও পিছনে পিছনে আসিয়া হাজির হইয়াছিল । ছোড়দাকে এই শুভ সংবাদ দিয়া সে-ই এখানে আনিয়াছিল । প্রথমে সে খুব খানিকট হাসিয়া লইল । হাসি থামিলে নিজের বুকে বারংবার করাঘাত করিয়া কহিল, আমি ! আমি ! আমার জন্তেই হ’ল তা জানে ? ওকে আমি মেজদার কাছে না নিয়ে গেলে কি মা হুকুম দিত ! ছোড়দা, তোমার কলের লাটুট। কিন্তু আমাকে দিতে হবে, তা বলে দিচ্ছি।—আচ্ছা দিলুম। নিগে য। আমার ডেস্ক থেকে, বলিয়া ছোড়দা তৎক্ষণাৎ হুকুম দিয়৷ ফেলিল। কিন্তু এই লাটুটা বোধ করি সে ঘণ্টাখানেক পূর্বে পৃথিবীর বিনিময়েও দিতে পারিত না। এমনিই মানুষের স্বাধীনতার মূল্য ! এমনই মামুষের ব্যক্তিগত স্যায্য অধিকার লাভ করার আনন্দ । আজ আমার কেবলই
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।