3e শ্ৰীকান্ত মার খাই নাই। ইন্দ্র খুসি হইয়া বলিল, খাস্নি ! দেখ রে শ্ৰীকান্ত, তুই চলে গেলে আমি ম৷ কালাকে অনেক ডেকেছিলুম— যেন তোকে কেউ না মারে । কালীঠাকুর বড় জাগ্রত দেবতা রে! মন দিয়ে ডাকলে কখনো কেউ মারতে পারে না। মা এসে তাদের এমনি ভুলিয়ে দেন যে, কেউ কিছু করতে পারে না। বলিয়া সে ছিপট দুই হাতে করিয়৷ কপালে ঠেকাইয় বোধ করি তাকেই মনে মনে প্রণাম করিল। বড়সিতে একটা টোপ দিয়া সেট। জলে ফেলিয়া বলিল, আমি ত ভাবিনি তোর জ্বর হবে ; তা হ’লে সেও হতে দিতুম না। আমি আস্তে আস্তে প্রশ্ন করিলাম, কি করতে তুমি ? ইন্দ্র কহিল, কিছুই না। শুধু জবাফুল তুলে এনে ম| কালীর পায়ে দিতুম । উনি জবাফুল বড় ভালবাসেন। যে যা বলে দেয় তার তাই হয়। এ ত সবাই জানে। তুই জানিস্নে ? আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমার আহ্লখ করে নি ? ইন্দ্র আশ্চৰ্য্য হইয়া কহিল, আমার ? আমার কখখনো অসুখ করে নি। কখখনে কিছু হয় না ! হঠাৎ উদ্দীপ্ত হইয়া বলিল, দেখ, ক্রীকান্ত, আমি তাকে একটা জিনিস শিখিয়ে দেব । যদি তুই দুবেল খুব মন দিয়ে ঠাকুরদেবতার নাম করিস—র্তারা সব সামনে এসে দাড়াবেন, তুই স্পষ্ট দেখতে পাবি। তখন আর তোর কোন অস্থখ করবে না। কেউ তোর একগাছি চুল পর্যন্ত ছুতে পারবে ন—তুই আপনি টের পাবি । আমার মতন যেখানে খুসি যা, যা-খুসি কর, কোন ভাবনা নেই। বুঝলি ? আমি ঘাড় নাড়িয়া বলিলাম, হু, বড়সতে টোপ দিয়া জলে
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।