শ্ৰীকান্ত 86 বসিল এবং অনতিকাল পরেই ঘাড় গুজিয়া ঘুমাইয় পড়িল । দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ চাপ বসিয়া থাকিয় যেন অস্থির হইয়! উঠিলাম, বলিলাম, বেলা যায় ; তুমি সেখানে যাবে না ? কোথায় শ্রীকান্ত ? তোমার দিদিকে টাকা দিতে যাবে না ? দিদির জন্যই ত বসে আছি । এই ত তার বাড়ী । এই তোমার দিদির বাড়ী ! এর ই সাপুড়ে—মুসলমান ! ইন্দ্র কি-একটা কথা বলিতে উদ্য ত হইয়াই, চাপিয়া গিয়৷ চুপ করিয়া আমার দিকে চাহিয়৷ রহিল। তাহার দুই চক্ষের দৃষ্টি বড় ব্যথায় একেবারে যেন স্নান হইয় গেল। একটু পরেই কহিল, একদিন তোকে সব কথা বলব। সাপ খলাব দেখবি শ্ৰীকান্ত ? তাহার কথা শুনিয়া অবাক হইয় গেলাম—তুমি সাপ খেলাবে কি ? কামড়ায় যদি ? ইন্দ্র উঠিয় গিয় ঘরে ঢুকিয়! একট। ছোট বাপি এবং সাপুড়ের বঁশি বাহির করিয়া আনিল ; এবং স্বমুখে রাখিয়া ডালার দ্বাধন আলগা করিয়া লাশিতে ফু দিল। আমি ভয়ে আড়ষ্ট হইয়া উঠিলাম। ডাল খুলে না ভাই, ভেতরে যদি গোখরে। সাপ থাকে ! ইন্দ্র তাহার জবাব দেওয়াও আবশ্যক মনে করিল না ; শুধু ইঙ্গিতে জানাইল যে, সে গোখরে সাপই খেলাইবে ; এবং পরক্ষণেই মাথ নাড়িয়া নাড়িয় লাশী বাজাইয়া ডালট। তুলিয়া ফেলিল । সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাণ্ড গোখরে একহাত উচু হইয়া ফণা বিস্তার করিয়া উঠিল ; এবং মূহূৰ্ব বিলম্ব না করিয়া ইন্দ্রর হাতের ডালায় একটা তীব্র ছোবল মারিয়৷ কঁপি হইতে বাহির হইয়া পড়িল । বাপ রে ? বলিয়া ইন্দ্র উঠানে
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।