48 শ্ৰীকান্ত দেখি, তারই সেই বহুমুল্য পাম্প-স্থ’র একপাটি। ইন্দ্র সেই ভিজ বালির উপরেই একেবারে শুইয়া পড়িল—শ্ৰীকান্ত রে! আমার মাসিমাও এসেছেন যে । আমি আর বাড়ী ফিরে যাব না ! তখন ধীরে ধীরে সমস্ত বিষয়টাই পরিস্ফুট হইয়া উঠিতে লাগিল । আমরা যখন মুদার দোকানে দাড়াইয় তাহাকে জাগ্রত করিবার ব্যর্থ প্রয়াস পাইতেছিলাম, তখন এই দিকের কুকুরগুলাও যে সমবেত আৰ্ত্ত-চাৎকারে আমাদিগকে এই দুর্ঘটনার সংবাদটাই গোচর করিবার ব্যর্থ-প্রয়াস পাইতেছিল, তাহা জলের মত চোখে পড়িল। তখনও দূরে তাহদের ডাক শুন যাইতেছিল। সুতরাং আর সংশয়মাত্র রহিল ন যে, নেকড়েগুলা তাহাকে টানিয়া লইয়t গিয়া যেখানে ভোজন করিতেছে, তাহারই আশে-পাশে দাড়াইয়। সেগুলা এখনও চেচাইয়া মরিতেছে । অকস্মাৎ ইন্দ্র সোজা উঠিয় দাড়াইয় কহিল, আমি যাব । আমি সভয়ে তাহার হাত চাপিয়া ধরিলাম—পাগল হয়েচ ভাই ! ইন্দ্র তাহার জবাব দিল না। ডিঙিতে ফিরিয়া গিয়া লগিট। তুলিয়া লইয়া কাধে ফেলিল। একট। বড় ছুরি পকেট হইতে বাহির করিয়া বঁ-হাতে লইয়া কহিল, তুই থাক শ্ৰীকান্ত ; আমি না এলে ফিরে গিয়ে বাড়ীতে খবর দিস-আমি চললুম। তাহার মুখ অত্যন্ত পাণ্ডৱ, কিন্তু চোখ-দুটাে জ্বলিতে লাগিল । তাহাকে আমি চিনিয়াছিলাম। এ তাহার নিরর্থক, শূন্য আস্ফালন নয় যে, হাত ধরিয়া দুটো ভয়ের কথা বলিলেই মিথ্য। দস্ত মিথ্যায় মিলাইয়া যাইবে । আমি নিশ্চয় জানিতাম, কোনমতেই তাহাকে নিরস্ত করা যাইবে না—সে যাইবেই । ভয়ের সহিত যে চির
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।