ঐকাত্ত ዓ¢ অপরিচিত, তাহাকে আমিই বা কেমন করিয়া, কি বলিয়া বাধা দিব ? যখন সে নিতান্তই চলিয়া যায়, তখন আর থাকিতে পারিলাম ন— আমিও যা হোক একট। হাতে করিয়া অনুসরণ করিতে উদ্যত হইলাম। এইবার ইন্দ্র মুখ ফিরাইয়া আমার একটা হাত ধরিয়৷ ফেলিল। বলিল, তুই ক্ষেপেচিস্ শ্ৰীকান্ত ? তোর দোষ কি ? তুই কেন যাবি ? তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়া এক মুহূৰ্ত্তেই আমার চোখে জল আসিয়া পড়িল । কোন মতে গোপন করিয়া বলিলাম, তোমারই বা দোষ কি ইন্দ্র ? তুমি বা কেন যাবে ? প্রত্যুত্তরে ইন্দ্র আমার হাতের বঁাশট টানিয়া লইয়। নৌকায় ছুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া কহিল, আমারও দোষ নেই ভাই, আমিও নতুনদাকে আনতে চাইনি। কিন্তু, একল ফিরে যেতেও পারব না, আমাকে যেতেই হবে। পূবেলই একবার বলিয়াছি, আমি নিজেও নিতান্ত ভীরু ছিলাম ন। অতএব বঁাশটা পুনরায় সংগ্ৰহ করিয়া লইয়া দাড়াইলাম, এবং আর বাদবিতণ্ডা না করিয়া উভয়েই ধীরে ধীরে অগ্রসর হইলাম। ইন্দ্র কহিল, বালির ওপর দৌড়ানে। যায় ন—খবরদার, সে চেষ্টা করিসূনে—জলে গিয়ে পড়বি । সুমুখে একটা বালির ঢিপি ছিল। সেইটা অতিক্রম করিয়াই দেখা গেল, অনেক দূরে জলের ধার ঘেষিয় দাড়াইয়। পাঁচ-সাইট: কুকুর চীৎকার করিতেছে ; যতদূর দেখা গেল, একপাল কুকুর ছাড়া, বাঘ ত দূরের কথ, একটা শৃগালও নাই। সন্তপণে আরও কতকটা অগ্রসর হইতেই মনে হইল, তাহারা কি একট।
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।