শ্ৰীকান্ত واسb ঘেষিয়া আসিয়া বসিয়াছে এবং কথাগুল যেন সৰ্ব্বাঙ্গ দিয়? গিলিতেছে। এইরূপে এই মহাশ্মশানের ইতিহাস যখন শেষ হইল, তখন বক্তা গর্বভরে আমার প্রতি কটাক্ষ হানিয়া প্রশ্ন করিলেন, কেয়া, বাবুসাহেব আপ যায়েগা ? যায়েগা বৈকি। যায়েগা ? আচ্ছ, আপকা খুসি। প্রাণ জানেসে— আমি হাসিয়া বলিলাম, না বাবুজা, না। প্রাণ গেলেও তোমাকে দোষ দেওয়া হবে না, তোমার ভয় নেই। কিন্তু অজানা যায়গায় আমিও শুধু হাতে যাব না—বন্দুক নিয়ে যাব। আমি পাখী মারিতে পারি না, কিন্তু বন্দুকের গুলিতে ভূত মারিতে পারি ; বাঙ্গালীরা ইংরাজী পড়িয়া হিন্দুশাস্ত্র মানে না ; তাহারী মুরগী খায় ; তাহারা মুখে যত বড়াই করুক, কার্যাকালে ভাগিয়া যায় ; তাহাদিগকে তাড় দিলেই তাছাদের দাত-কপাটি লাগে— এই প্রকারের সমালোচনা চলিতে লাগিল। অর্থাৎ যে সকল সূক্ষ যুক্তিতর্কের অবতারণা করিলে আমাদের রাজা-রাজড়াদের আনন্দোদয় হয় এবং তাহাদের মস্তিষ্ককে অতিক্রম করিয়া, যায় না—অর্থাৎ ভঁাহারাও দুকথা কহিতে পারেন, সেই সব কথাবার্তা । ইহাদের দলে একটিমাত্র লোক ছিল, যে স্বীকার করিয়াছিল, সে শিকার করিতে জানে না ; তাহার নাম পুরুষোত্তম । সে সন্ধার সময় আসিয়া আমাকে ধরিল—সঙ্গে যাইবে । কারণ ইতিপূর্বে সেও কোনদিন ভূত দেখে নাই। অতএব আজ যদি
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।