শ্ৰীকান্ত SS, এই অন্যায় অসঙ্গত জিদ দেখিয়া পায়ের নখ হইতে মাথার চুল পর্যন্ত জ্বলিয়া গেল। বলিলাম, আচ্ছা দাড়াও, আমি আসচি। তাড়াতাড়ি বুট্রট পরিয়া লইয়া একটা কোট গায়ে দিয়! ফেলিলাম। রাইফেল ঠিক করাই ছিল । হাতে লইয়া রতনের সঙ্গে সঙ্গে বাইজীর তাবুতে গিয়া প্রবেশ করিলাম। পিয়ারী স্বমুখেই দাড়াইয়া ছিল। ক্রুদ্ধস্বরে বলিয় উঠিল, শ্মশানে-টশানে, তোমার কোন মতেই যাওয়া হবে না— কান মতেই না । ভয়ানক আশ্চর্য হইয় গেলাম----:কম ? কেন আবার কি ? ভূত প্রে ১ কি নই যে, এই শনিবারের অমাবস্তায় তুমি যাবে শ্মশানে ? প্রাণ নিয়ে কি তা হ’লে আর ফিরে আসতে হবে ? বলিয়াই পিয়র। অকস্মাৎ ল্যর ঝর করিয়! কাদিয়া ফেলিল । আমি বিঙ্গবলের মত নি:শব্দে চাহিয়; দাড়াইয়! রহিলাম। কি করিব, কি জবাব দিব, ভাবিয়াই পাইলাম না । ভাবিয়া না পাওয়ার আর আশ্চৰ্য্য কি ? যাহকে চিনি না, জানি ন, সে যদি উৎকট হিতাকস্থায় দুপুর রাত্রে ডাকাইয়। অনিয়! সুমুখে দাড়াইয়া খামোক কান্ন। জুড়িয়া দেয়— হ তবুদ্ধি হয় না কে ? আমার জবাব না পাইয়। পিয়ারা চোখ মুছিতে মুষ্টিতে কহিল, তুমি কি কোন দিন শান্ত-সুবোধ হবে না ? তেমনি একগুঁয়ে হয়ে চিরকালট কাটাবে ? আমি কহিলাম, কিন্তু যেতেই ব দেবে না কেন ? পিয়ারী কহিল, দেবই বা কেন ? সত্যিকারের ভূত কি নেই যে, তুমি যাবে বললেই যেতে দেব ? আমি চেচিয়ে হাট বাধাব—ত। বলে দিচ্চি। এবার হাসিয়া ফেলিয়া বলিলাম, সত্যিকারের ভূত
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।