তুমি পিয়ারী।
সে ত সবাই জানে!
সবাই যা জানে না, তা আমি জানি—শুন্লে কি তুমি খুশি হবে? হ’লে ত নিজেই তোমার পরিচয় দিতে। যখন দাওনি তখন আমার মুখ থেকেও কোন কথা পাবে না। এর মধ্যে ভেবো দেখো, আত্মপ্রকাশ কর্বে কি না। কিন্তু এখন আর সময় নেই—আমি চল্লুম।
পিয়ারী বিদ্যুৎগতিতে পথ আগ্লাইয়া দাঁড়াইয়া কহিল, যদি যেতে না দিই, জোর করে যেতে পার?
কিন্তু যেতেই বা দেবে না কেন?
পিয়ারী কহিল, দেবই বা কেন? সত্যিকারের ভূত কি নেই যে, তুমি যাবে বল্লেই যেতে দেব? মাইরি, আমি চেঁচিয়ে হাট বাধাব—তা বলে দিচ্চি, বলিয়াই আমার বন্দুকটা কাড়িয়া লইবার চেষ্টা করিল। আমি এক পা পিছাইয়া গেলাম। কিছুক্ষণ হইতেই আমার বিরক্তির পরিবর্ত্তে হাসি পাইতেছিল। এবার হাসিয়া ফেলিয়া বলিলাম, সত্যিকারের ভূত আছে কি না জানি না, কিন্তু মিথ্যাকারের ভূত আছে জানি; তারা সুমুখে দাঁড়িয়ে কথা কয়, কাঁদে, পথ আগ্লায়—এমন অনেক কীর্ত্তি করে, আবার দরকার হ’লে ঘাড় মট্কেও খায়। পিয়ারী মলিন হইয়া গেল; এবং ক্ষণকালের জন্য বোধ করি বা কথা খুঁজিয়া পাইল না। তারপরে বলিল, আমাকে তা হ’লে তুমি চিনেচ বল! কিন্তু ওটা তোমার ভুল। তারা অনেক কীর্ত্তি করে সত্যি, কিন্তু ঘাড় মট্কাবার জন্যে পথ আগ্লায় না। তাদেরও আপনার-পর বোধ আছে। আমি পুনরায় সহাস্যে প্রশ্ন করিলাম, এ ত তোমার নিজের কথা, কিন্তু তুমি কি ভূত?
পিয়ারী কহিল, ভূত বই কি। যারা মরে গিয়েও মরেনা, তারাই ভূত; এই ত তোমার বল্বার কথা। একটুখানি থামিয়া নিজেই পুনরায়