পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

སྐྱ་ YèVSOD দোকানেব সন্ধানে স্টেশন হইতে বাহিব হাঈয়া গেলাম । দোকান মিলিল । চুড়া, দঠি এবং শর্কবা-সংযোগে অত্যুৎকৃষ্ট ভোজন সম্পন্ন করিতে অর্ধেক ব্যয় হষ্টয়া গেল। তা যাক । জীবনে অমন কত যায—সেজন্য ক্ষুন্ন হওয়া কাপুরুষতা । গ্রামে পরিভ্রমণ করিতে বাহিব হইলাম। ঘণ্টাখানেক ঘুরিতে-না- ঘুরিতে টের পাইলাম জায়গাটাব দধি ও চুডা যে পরিমাণে উপাদেয়, পানীয় জলটা সেই পরিমাণে নিকৃষ্ট । আমাৰ অমন ভুরিভোজন এইটুকু সময়ের মধ্যে এমনি পরিপাক করিয়া নষ্ট করিয়া দিল যে, মনে হইতে লাগিল, যেন দশ-বিশ দিন তণ্ডুলি-কণাটিও মুখে যায় নাই। এরূপ কদৰ্য স্থানে বাস করা আর একদণ্ড উচিত নয় মনে কবিয়া স্থান ত্যাগের কল্পনা করিতেছি, দেখি অদূরে একটা আমবাগানের ভিতর হইতে ধূম দেখা frt আমাব ন্যায়শাস্ত্র জানা ছিল। ধূম দেখিয়া অগ্নি নিশ্চয়ই অনুমান করিলাম ; বরঞ্চ অগ্নিরও হেতু অনুমান করিতে আমার বিলম্ব হইল না । সুতরাং সোজা সেই দিকে অগ্রসব হইয়া গেলাম। পূর্বেই বলিয়াছি, জুলটা এখানকাব বড় বদ। বাঃ-এই ত চাই ! এ যে খাটি সন্ন্যাসীর আশ্ৰম ! মস্ত ধুনির উপর লোটায় করিয়া চায়ের জল চড়িয়াছে। “বাবা’ অৰ্থমুদ্রিত-চক্ষে সম্মুখে । বসিয়া আছেন ; তাহাব আশেপাশে গাঁজার উপকরণ। একজন বাচ্চাসন্ন্যাসী একটা ছাগী দোহন করিতেছে-চা-সেবায় লাগিবে। গোটা দুই উট, গোটা দুই টাটু ঘোড়া এবং সবৎসা গাভী কাছাকাছি গাছের ডালে বঁধে রহিয়াছে। পাশেই একটা ছোট ভঁাবু। উকি মারিয়া দেখি, ভিতরে আমার বয়সী এক চেলা দুই পায়ে পাথবেব বাটি ধরিয়া মস্ত একটা নিমদণ্ড দিয়া ভাঙ তৈয়ারি করিতেছে। দেখিয়া আমি ভক্তিতে আল্পত হইয়া গেলাম ; এবং চক্ষের পলকে সাধু-বাবাজীর পদতলে একেবারে লুটাইয়া পড়িলাম। পদধূলি মন্তকে ধারণ করিয়া করজোড়ে।” মনে মনে - বলিলাম, ভগবান, তোমার কি অসীম করুণা ৷ কি স্থানেই আমাকে আনিয়া দিলে। চুলোয় যাকগে পিয়ারী-এই মুক্তিমার্গের সিংহদ্বার