পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांक्षू R একটা গ্লাস, না ছিল একটা ঘটি। সহযাত্রীদের মধ্যে যদি কোথাও কোন বাঙালী থাকে ত, একটা উপায় হইতে পারিবে মনে করিয়া আবার বাহির হইয়া পড়িলাম ; নীচে নামিবার সেই গর্তটার কাছাকাছি হইবামাত্র একপ্রকার তুমুল শব্দ কানে পৌঁছিল—যাহার সহিত তুলনা করি, এরূপ অভিজ্ঞতা আমার নাই। গোয়ালে আগুন ধরিয়া গেলে একপ্রকার আওয়াজ উঠিবার কথা বটে ; কিন্তু ইহার অন্তরূপ আওয়াজের জন্য যত বড় গোশালার আবশ্যক, তত বড় গোশালা মহাভারতের যুগে বিরাট রাজার যদি থাকিয়া থাকে। ত সে আলাদা কথা, কিন্তু এই কলিকালে কাহারও যে থাকিতে পারে, তাহা কল্পনা করাও কঠিন। সভয় চিত্তে সিড়ির দুই-এক ধাপ নামিয়া উকি মারিয়া দেখিলাম, যাত্রীরা যে যাহার national সঙ্গীত শুরু করিয়া দিয়াছে। কাবুল হইতে ব্ৰহ্মপুত্র ও কুমারিকা হইতে চীনের সীমানা পর্যন্ত যত প্রকারের সুর-ব্ৰহ্ম আছেন, জাহাজেব এই আবদ্ধ খোলের মধ্যে বাদ্যযন্ত্র সহযোগে তাহারই সমবেত অনুশীলন চলিতেছে । এ মহাসঙ্গীত শুনিবার ভাগ্য কদাচিৎ ঘটে ; এবং সঙ্গীতই যে সর্বশ্রেষ্ঠ ললিতকলা, তাত সেইখানেই দাড়াইয়া সসম্রামে স্বীকাৰ করিয়া লইলাম। কিন্তু সর্বাপেক্ষা বিস্ময় এই যে, এতগুলা সঙ্গীতবিশারদ একসঙ্গে জুটিল কিরূপে ? নীচে নামা উচিত হইবে কিনা স্থিব করিতে পারিলাম না। শুনিয়াছি, ইংরাজের মহাকবি সেক্সপীয়ব নাকি বলিয়াছিলেন, সঙ্গীতে যে মুগ্ধ না হয়, DD BBO DBBBDB BBDS DDDS D DDD BBD BDDS SD mBuDuBBD শুনিলেই যে মানুষেব খুনি চাপিয়া যায়, এমন সঙ্গীতের খবর বোধ করি, তঁহার জানা ছিল না। জাহাজের খোল বীণাপাণির পীঠস্থান। কিনা, জানি না ; না হইলে, কাবুলিয়ালা গান গায়, এ কথা কে ভাবিতে পারে! একপ্ৰান্তে এই অদ্ভুত কাণ্ড চলিতেছিল। হা করিয়া চাহিয়া আছি ; হঠাৎ দেখি, এক ব্যক্তি তাহারই অদূরে দাড়াইয়া প্ৰাণপণে হাত নাড়িয়া আমার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করিতেছে। অনেক কষ্টে অনেক লোকের চোখরাঙানি মাথায় করিয়া এই লোকটির কাছে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। ব্ৰাহ্মণ শুনিয়া সে হাতজোড় করিয়া নমস্কার করিল এবং নিজেকে রোদুনের