পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to Šकास्छ দেখাইয়া কহিল, এই সিড়ি,-তোমার ঘর তেতলায়। একটু শুয়ে পড় গে, আমি যাচিছ। বলিয়া সে নিজে রান্নাঘরের দিকে চলিয়া গেল । ঘবে ঢুকিতে দেখিলাম, এ ঘর আমার জন্যই বটে। পাটনার বাড়ি হইতে আমার বইগুলি, আমার গুড়গুড়িটি পর্যন্ত আনিতে পিয়ারী বিস্মৃত্যু হয় নাই। একখানি দামী সূৰ্যাস্তের ছবি আমার বড় ভাল লাগিত । সেখানি সে নিজের ঘর হইতে খুলিয়া আমার শোবার ঘরে টাঙ্গাইয়া দিয়াছিল। সেই ছবিটি পর্যন্ত সে কলিকাতায় সঙ্গে আনিয়াছে এবং ঠিক তেমনি করিয়া দেওয়ালে বুলাষ্টিয়া দিয়াছে ; আমার লিখিবার সাজসরঞ্জাম, আমার কাপড়, আমার সেই লাল মখমলের চটিজুতাটি পর্যন্ত ঠিক তেমনি সযত্নে সাজানো ঋহিয়াছে। একখানি আরাম-চৌকি আমি সর্বদা সেখানে ব্যবহার করিতাম। সেটি বোধ করি আনা সম্ভব হয় নাই, তাই নূতন একখানি সেইভাবে জানালার ধাবে পাতা বহিয়াছে। ধীরে ধীরে তাহারি উপরে গিয়া চোখ বুজিয়া শুইয়া পড়িলাম। মনে হইল যেন ভঁাটার নদীতে আবাব জোয়ারের জলোচ্ছাসের শব্দ মোহানার কাছে va zëvëz স্নানাহার সারিয়া ক্লান্তিবশতঃ দুপুরবেলায় ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলাম । ঘুম ভাঙিতে দেখিলাম, পশ্চিমের জানাল দিয়া অপরাহ্-রৌদ্র আমার পায়ের কাছে আসিয়া পড়িয়াছে এবং পিয়ারী একহাতে ভর দিয়া আমার মুখের উপর ঝুকিয়া পড়িয়া অন্য হাতে আঁচল দিয়া আমার কপালের, কঁধের এবং বুকের ঘাম মুছিয়া লইতেছে। কহিল, ঘামে বালিশ-বিছানা ভিজে গেছে। পশ্চিম খোলা-এ ঘরটা ভারি গরম । কাল দোতলায় আমার পাশের ঘরে তোমার বিছানা ক’রে দেব ; বলিয়া আমার বুকের একান্ত সন্নিকটে বসিয়া পাখাটা তুলিয়া লইয়া বাতাস করিতে লাগিল। রতন ঘরে ঢুকিয়া জিজ্ঞাসা করিল, মা, বাবুর চা নিয়ে আসব ? হা, নিয়ে আয়। আর বন্ধু বাড়ি থাকে। ত একবার পাঠিয়ে দিস।। আমি আবার চোখ বুজিলাম। খানিক পরেই বাহিরে চটজুতার আওয়াজ পাওয়া গেল। পিয়ারী ডাকিয়া কহিল, কে বন্ধু ? একবার ५eकि खयां नेिकि।