পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত Rr DBDBD TBBuBBD DD BDK DBDB DD DDBD DBBD S BB করিলাম, আচ্ছা ইন্দ্ৰ, তুমি কখনও ঐ-সব দেখেছ ? कि जद ? ঐ যারা মাছ চাইতে আসে ? না ভাই দেখিনি-লোকে বলে, তাই শুনেছি। আচ্ছা, তুমি এখানে একলা আসতে পারো ? ইন্দ্ৰ হাসিল । কহিল, আমি ত একলাই আসি । ভয় করে না ? না। রামনাম করি । কিছুতেই তারা আসতে পারে না। একটু থামিয়া কহিল, রামনাম কি সোজা রে ? তুই যদি রামনাম করতে করতে সাপের মুখ দিয়ে চলে যাস, তবু তোর কিছু হবে না। সব দেখবি ভয়ে ভয়ে পথ ছেড়ে দিয়ে পালাবে । কিন্তু ভয় করলে হবে না । তা হলেই তারা টের পাবে, এ শুধু চালাকি কারচে-তারা সব অন্তৰ্যামী কি না ! বালুর চর শেষ হইয়া আবার কঁাকরের পাড় শুরু হইল। ওপার অপেক্ষা এপারের স্রোত অনেক কম। বরঞ্চ এইখানটায় বোধ হইল, স্রোত যেন উল্টোমুখে চলিয়াছে। ইন্দ্ৰ লাগি তুলিয়া বোটে হাতে করিয়া কহিল, ঐ যে সামনে বনের মত দেখাচ্ছে, আমাদের ওর ভেতর দিয়ে যেতে হবে । ঐখানে আমি একবার নেবে যাবো । যাবে। আর আসব, কেমন ? অনিচ্ছাসত্ত্বেও বলিলাম, আচ্ছা । কারণ, “ন’ বলিবার পথ ত একপ্ৰকার নিজেই বন্ধ করিয়া দিয়াছি । আবার ইন্দ্ৰও আমার নিভীকতা সম্বন্ধে বোধ করি নিশ্চিন্ত হইয়াছে। কিন্তু কথাটা আমার ভাল লাগিল না । এখান হইতে ঐ স্থানটা এমনি জঙ্গলের মত অন্ধকার দেখাইতেছিল যে এইমাত্র রামনামের অসাধারণ মাহাত্ম্য শ্ৰবণ করা সত্ত্বেও ওই অন্ধকার প্ৰাচীন বটবৃক্ষমূলে নৌকার উপর এক বসিয়া এত রাত্রে রামনামের শক্তি-সামৰ্থ্য যাচাই করিয়া লইতে আমার এতটুকু প্ৰবৃত্তি হইল না এবং তখন হইতেই গা ছমছম করিতে লাগিল। সত্য বটে, মাছ আর ছিল না, সুতরাং মৎস্যপ্ৰাখীদের শুভাগমন না হইতে পারে, কিন্তু সকলের লোভ